ছবি: ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ফুটবল দল শেষ মুহূর্তে ২-১ ব্যবধানে মালদ্বীপকে পরাজিত করেছে। আগের ম্যাচে রাকিব হোসেন ও শেখ মোরসালিনরা আক্রমণে আধিপত্য দেখিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিল, যার ফলস্বরূপ তারা হারতে হয়। শনিবারও শুরুতে ডিফেন্ডারদের ভুলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ, কিন্তু ম্যাচের শেষ মুহূর্তে তারা জয় নিশ্চিত করে।
এদিন তপু বর্মণের মারাত্মক ভুলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে আক্রমণে থাকা দল প্রথমার্ধেই গোল পেয়ে সমতায় ফেরে। একাদশে ফিরেই মজিবুর রহমান জনি দারুণ শটে গোল করে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে পাপন সিংয়ের গোল বাংলাদেশকে এনে দেয় জয়। এটি ছিল ২০২৪ সালের শেষ ম্যাচ, এবং হাভিয়ের কাবরেরা দলের জন্য অন্তত একটি জয় দিয়ে বছরের শেষ করতে পেরেছেন।
ফুটবলাররা বছরের শেষ ম্যাচে জয়ের আশা নিয়ে মাঠে নামলেও শুরুতে গোল করতে পারছিলেন না। রাকিব হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ বারবার আক্রমণ করেও গোল করতে ব্যর্থ হন। প্রথম গোলটি আসে তপু বর্মণের ভুল পাস থেকে, যা সুযোগ করে দেয় মালদ্বীপের আলি ফাসিরকে।
পিছিয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ আক্রমণ চালিয়ে যায়। রাকিবের ক্রসে ফয়সাল আহমেদের শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে দেয়, পরে শেখ মোরসালিনের শট ক্রসবারে উঠে যায়। তবে তিন মিনিট পর জনির দুর্দান্ত গোলের মাধ্যমে বাংলাদেশ সমতায় ফিরতে সক্ষম হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে বদলি ফুটবলারদের আগমনে বাংলাদেশ খেলা আরও দ্রুত গতিতে খেলতে শুরু করে। ৭৬ মিনিটে পিয়াস আহমেদ নোভা অভিষেক ম্যাচে নামলেও গোল পেতে পারতেন, কিন্তু গোলরক্ষক হুসাইন শরীফের পারফরম্যান্সে তার শট ফিরে আসে।
তবে শেষ মুহূর্তে শাহরিয়ার ইমনের ক্রসে পাপন সিং দারুণ ফিনিশিংয়ের মাধ্যমে গোল করে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে জয় এনে দেন।
ম্যাচ শেষে কাবরেরা জানান, পরিকল্পনা সফল হয়েছে এবং খেলার সুযোগ নষ্ট করাও স্বাভাবিক, তবে ছেলেরা সফলভাবে সুযোগ কাজে লাগিয়েছে।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, সাবেক জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল কিংস অ্যারেনায় বসে ম্যাচ উপভোগ করেছেন। তামিম মাঠের পরিবেশ নিয়ে বলেন, 'এখানকার পরিবেশ দারুণ, শুধু মাঠ নয় পুরো কমপ্লেক্সই অসাধারণ।'
repoter