
ছবি: অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) পরিচালিত প্রতিযোগিতায় বোলিং করতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সাকিবের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হওয়ার পর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
গত সেপ্টেম্বরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে একটি ম্যাচে বোলিং করার সময় সাকিবের বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক বলে রিপোর্ট করেন আম্পায়াররা। এরপর লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বোলিং অ্যাকশন স্বাধীনভাবে পরীক্ষা করা হয় এবং সেখানে তার অ্যাকশন অবৈধ বলে চিহ্নিত হয়। পরীক্ষায় সাকিবের কনুইয়ের বাঁক ১৫ ডিগ্রি সীমার বাইরে ছিল, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গ্রহণযোগ্য নয়।
ইসিবি ১০ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সাকিবের উপর বোলিং নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে, সেই দিন তারা লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফল পেয়েছিল। সাকিবের বোলিং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হলে তাকে আবারও স্বাধীন পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে, যেখানে তার কনুইয়ের বাঁক ১৫ ডিগ্রি সীমার মধ্যে থাকতে হবে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে সারের হয়ে সমারসেটের বিপক্ষে টনটনে খেলতে নেমেছিলেন সাকিব। ওই ম্যাচে সাকিব ৯টি উইকেট নিয়েছিলেন, যা ছিল তার ২০১০-১১ মৌসুমের পর প্রথম কাউন্টি ক্রিকেট ম্যাচ। তবে বোলিং অ্যাকশন সমস্যা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন আসার পর এটি তার ক্যারিয়ারে একটি বিতর্কিত মুহূর্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি সাকিবের ক্যারিয়ার নানা বিতর্কে আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য থাকার সময় তাঁর ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল, বিশেষ করে জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনে শতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার ঘটনার পর। এই বিতর্কগুলো সাকিবের ক্যারিয়ারের ওপর প্রভাব ফেলেছে। এর পাশাপাশি, সাকিব টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন এবং অক্টোবরে মিরপুরে তার বিদায়ী টেস্ট ম্যাচে অংশ নেননি।
বর্তমানে সাকিব পরিবারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেও অনেকদিন ধরেই দূরে রয়েছেন। তার নিষেধাজ্ঞা এবং ক্যারিয়ারের এই বিতর্কিত মুহূর্তগুলো বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
repoter