
ছবি: -সংগৃহীত ছবি
নরওয়ে সরকার জানিয়েছে, চলতি বছরে রাশিয়া মোট তিনবার তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। নরওয়ের পক্ষ থেকে এ ঘটনাগুলোকে ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ বলা হয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
সরকারি তথ্যানুযায়ী, প্রথম ঘটনা ঘটে গত ২৫ এপ্রিল। সেদিন একটি রুশ এসইউ-২৪ যুদ্ধবিমান নরওয়ের আকাশসীমায় প্রবেশ করে এবং প্রায় চার মিনিট সেখানে অবস্থান করে। দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে ২৪ জুলাই, যখন একটি এল-৪১০ টার্বোলেট পরিবহন বিমান নরওয়ের আকাশে প্রবেশ করে তিন মিনিট অবস্থান করে। সর্বশেষ ১৮ আগস্ট আরেকটি রুশ এসইউ-৩৩ যুদ্ধবিমান এক মিনিটের জন্য নরওয়ের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে।
এ বিষয়ে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্তোরে এক বিবৃতিতে বলেন, বসন্ত ও গ্রীষ্মকাল জুড়ে তিনটি ঘটনায় রাশিয়ার যুদ্ধবিমান নরওয়ের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। তিনি মন্তব্য করেন, ঘটনাগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘটিত হয়েছে নাকি নেভিগেশনের ভুলের কারণে হয়েছে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে যে কারণেই হয়ে থাকুক না কেন, এমন লঙ্ঘন মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
স্তোরে আরও উল্লেখ করেন, আকার ও সময়ের দিক থেকে নরওয়ের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা তুলনামূলকভাবে ছোট মনে হতে পারে। এস্তোনিয়া, পোল্যান্ড বা রোমানিয়ার মতো দেশগুলোর ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনার মাত্রা বেশি। তবুও নরওয়ে এ ঘটনাগুলোকে গভীর গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।
ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ন্যাটোর জন্য নরওয়ে একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত। দেশটিকে প্রায়ই উত্তর মেরুর অতি উত্তরে জোটের ‘চোখ ও কান’ বলা হয়। কারণ, নরওয়ের সঙ্গে রাশিয়ার রয়েছে দীর্ঘ সামুদ্রিক সীমানা এবং প্রায় ১৯৮ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থলসীমান্ত। ফলে এ অঞ্চলে সামরিক তৎপরতা ও আকাশসীমা পর্যবেক্ষণে নরওয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
সরকারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি ঘটনাই ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার স্বার্থে মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো হবে। এ ধরনের লঙ্ঘন রাশিয়া ও নরওয়ের মধ্যকার উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করেছে বলে কূটনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে।
repoter