ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০৩:৫১ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

রাজধানীতে ‘শহীদ আনাস সড়ক’ ও ‘শহীদ জুনায়েদ চত্বর’ উদ্বোধন

repoter

প্রকাশিত: ০৯:৫৫:৪১অপরাহ্ন , ০৭ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ০৯:৫৫:৪১অপরাহ্ন , ০৭ জুলাই ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে গেন্ডারিয়ায় নামফলক উন্মোচন করলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় ধূপখোলা মাঠ সংলগ্ন এলাকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে দুটি স্থানের নামফলক উন্মোচন করা হয়েছে। শহীদ শাহারিয়ার খান আনাসের স্মরণে একটি সড়ক এবং শহীদ মেহেদী হাসান জুনায়েদের স্মরণে একটি চত্বরের নামকরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আনুষ্ঠানিকভাবে 'শহীদ শাহারিয়ার খান আনাস সড়ক' ও 'শহীদ জুনায়েদ চত্বর'-এর উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সেই ভয়াবহ সকালের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় গুলিতে শহীদ হন আনাস ও জুনায়েদ। তিনি বলেন, “ঘটনার সময় আমি তাদের খুব কাছেই ছিলাম। আমরা সকলে পুলিশ এবং এপিবিএনের ব্যারিকেড ভেঙে শহীদ মিনারের দিকে যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখনকার সেই বেদনাদায়ক মুহূর্তে গুলিতে শহীদ হয় অনেকেই, যার মধ্যে আনাস ও জুনায়েদ ছিলেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া সাহসী মুখ।”

উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমরা এই শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। তাদের অদম্য দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ থেকে আমরা শিক্ষা নিয়ে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেখানে ফ্যাসিবাদ বা জুলুমের কোনো ঠাঁই থাকবে না।” তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আর যেন কাউকে প্রাণ দিতে না হয়, জনগণের করের টাকায় পরিচালিত রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো যেন আর কখনো এমন গণহত্যা চালাতে না পারে, সেজন্য দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং কাঠামোগত সংস্কার জরুরি।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “সারা দেশের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই লড়াই সফল হবে এবং নতুন বাংলাদেশ গঠনের পথে শহীদদের আত্মত্যাগ অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।”

অনুষ্ঠানে শহীদ আনাসের মা এবং শহীদ জুনায়েদের বাবা বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, “আমাদের সন্তানদের আত্মত্যাগ যেন ইতিহাসের পাতায় চাপা না পড়ে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ এবং ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।” এছাড়াও, শহীদদের কবর সংরক্ষণ ও স্মৃতি রক্ষার্থে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানান তারা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।

এছাড়াও স্থানীয় সরকার বিভাগ, ডিএসসিসি ও অন্যান্য সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

repoter