ছবি: ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহীর সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ঐক্যের বার্তা ও দেশের পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই সবার সঙ্গে সামনাসামনি দেখা হবে। রবিবার লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখে এবং এই আস্থা দলের জন্য এক বড় শক্তি। ঐক্যবদ্ধ থেকে সেই আস্থার মর্যাদা দিতে হবে এবং দেশকে পুনর্গঠনের পথে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি জানান, আগামী বছর রমজানের আগেই নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ বাস্তবায়িত হবে। তবে তিনি সতর্ক করে দেন, সামনে এখনও অনেক বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
তারেক রহমান জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করে বলেন, দেশের জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় স্বৈরাচারকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করতে বিএনপি সফল হয়েছে। এটি দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন, যা গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণে নতুন অধ্যায় খুলে দিয়েছে।
তিনি স্বৈরাচার সরকারের সমালোচনা করে বলেন, তাদের শাসন দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য খাত ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধ্বংস করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে পুনর্গঠনে অগ্রাধিকার দেবে। পাশাপাশি দেশি-বিদেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানো, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা এবং শিক্ষার আলো দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপিকে জনগণের আরও কাছে যেতে হবে। তাদের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়েই কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কারণ জনগণের সমর্থনই দলের শক্তি, যা পরিবর্তনের পথে সবচেয়ে বড় চালিকা শক্তি।
তারেক রহমানের বক্তব্যে স্পষ্ট ছিল—ঐক্য, বিশ্বাস ও দৃঢ় সংকল্পই হবে বিএনপির আগামী দিনের পথচলার মূল ভিত্তি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সবাই মিলে এগিয়ে গেলে দেশের রাজনৈতিক স্থিতি ফিরিয়ে আনা এবং উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন সম্ভব হবে।
repoter

