
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
নরসিংদীতে এক অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে তিন দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণী শনিবার মাধবদী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ইকবাল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। এদিকে, গাবতলী এলাকায় ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তারতীকুল কুরান একাডেমি মাদ্রাসার দারোয়ানকে এলাকাবাসী গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
জানা গেছে, গত ১৯ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচদোনা এলাকার একটি ভবনে ওই তরুণীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইকবাল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। ইকবাল পাঁচদোনা ইউনিয়নের আসমান্দীচর এলাকার বাসিন্দা। মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুপুরে তরুণী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইকবালকে আটক করা হয়েছে এবং মামলার আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এদিকে, গাবতলী এলাকায় তারতীকুল কুরান একাডেমি মাদ্রাসার দারোয়ান ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দারোয়ানকে আটক করে গণধোলাই দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে viral হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দারোয়ানকে উদ্ধার করে সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদ হোসেন বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দারোয়ানকে এলাকাবাসী আটক করে। পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে এসেছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নরসিংদীতে এ ধরনের ঘটনা জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা নারী ও শিশু নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ উভয় ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রেখেছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
এসব ঘটনায় নারী ও শিশু নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়রা দাবি করেন, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়
repoter