ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০৩:৪০ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করা এনসিপিসহ ৮২টি দলকে চিঠি দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন

repoter

প্রকাশিত: ০৭:৩৬:৩০অপরাহ্ন , ২০ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ০৭:৩৬:৩০অপরাহ্ন , ২০ জুলাই ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিক যাচাইয়ে অনুত্তীর্ণ দলগুলোকে ১৫ দিনের সময়, শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের চিঠি প্রদান

নিবন্ধন প্রাপ্তির জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)সহ ৮২টি নতুন রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি পাঠানোর কার্যক্রম শুরু করেছে কমিশন। এসব দল প্রাথমিক যাচাইবাছাইয়ে উত্তীর্ণ না হওয়ায় তাদেরকে সংশ্লিষ্ট তথ্য ও প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে প্রথম ধাপে ৬২টি নিবন্ধনপ্রত্যাশী দলকে চিঠি দিয়েছিল ইসি। এবার দ্বিতীয় ধাপে বাকি ৮২টি দলকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। রোববার, ২০ জুলাই নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির উপসচিব মো. মাহবুব আলম শাহ্। তিনি জানান, “আমরা প্রথম ধাপে ৬২টি দলকে চিঠি দিয়েছি। এখন দ্বিতীয় ধাপে আরও ৮২টি দলকে চিঠি পাঠানো শুরু করেছি। চিঠি পাওয়ার পর প্রতিটি দলকে প্রয়োজনীয় সংশোধন বা তথ্য উপস্থাপনের জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।”

নির্বাচন কমিশন গত ২০ এপ্রিল একটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিবন্ধন প্রত্যাশী দলগুলোর কাছে আবেদন আহ্বান করে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনেকে আবেদন করলেও এনসিপিসহ বেশ কিছু দল অতিরিক্ত সময় চাওয়ায় পরে আবেদনপত্র গ্রহণের সময়সীমা ২২ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

নিবন্ধন পেতে হলে দলগুলোকে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। আইন অনুযায়ী, একটি রাজনৈতিক দলের অবশ্যই একটি পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি থাকতে হবে। সেই সঙ্গে দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলায় ও কমপক্ষে ১০০টি উপজেলায় সংগঠনিক কমিটি থাকতে হবে। প্রতিটি কমিটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত সমর্থনের প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়।

এছাড়াও, দলটির কোনো প্রার্থী যদি অতীতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন বা আগের কোনো জাতীয় নির্বাচনে মোট ভোটের অন্তত পাঁচ শতাংশ পেয়ে থাকেন, তাহলে সেটি নিবন্ধনের জন্য বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়। এসব ছাড়াও নির্ধারিত ফরম্যাটে তথ্য প্রদান এবং অন্যান্য প্রশাসনিক শর্ত পূরণের মাধ্যমে আবেদনপত্র সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হয়।

চিঠিপ্রাপ্ত দলগুলো নির্ধারিত ১৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য বা সংশোধিত নথিপত্র না পাঠালে তাদের আবেদন বাতিল বলে গণ্য হতে পারে বলে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং যোগ্য দলগুলোর যথাযথ যাচাই শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে।

নিবন্ধনপ্রক্রিয়ার এই বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে নতুন রাজনৈতিক দলসমূহকে একটি বৈধ পরিচয়ের আওতায় আনার লক্ষ্যেই নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ। কমিশন জানিয়েছে, দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সুশাসন, জবাবদিহি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতেই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া কঠোরভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে।

কমিশনের কর্মকর্তারা মনে করেন, নিবন্ধনপ্রক্রিয়ার এই স্বচ্ছতা ও কঠোরতা ভবিষ্যতের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা যাচাই এবং একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ গঠনে সহায়ক হবে। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর এই নিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা নির্বাচন ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

repoter