ছবি: ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিতে উত্তাল হয় ক্যাম্পাস, পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, শেষ পর্যন্ত র্যাব-পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রায় আট ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় পেছনের ফটক দিয়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা সি. আর. আবরার ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি ও ডিসি (উত্তরা) মো. মুহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পেছনের ফটক দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তাদের নিরাপদে বের করে আনা হয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ছয় দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। তারা উপদেষ্টাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের পরপরই অবরুদ্ধ করে রাখে। দাবিগুলোর মধ্যে শিক্ষাগত পরিবেশ, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, শিক্ষক নিয়োগ ও আচরণগত শৃঙ্খলা ছিল প্রধান।
বেলা ১টা ১০ মিনিটে অতিরিক্ত পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং অবরুদ্ধ উপদেষ্টা ও প্রেস সচিবকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু এতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা দাবি জানায়, ক্যাম্পাস থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরিয়ে নিতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা পুলিশ সদস্যদের ধাওয়া দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে ঠেলে দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় পুলিশও পাল্টা ধাওয়া দেয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা কলেজ ভবনে প্রবেশের চেষ্টা চালায় এবং মূল ফটকের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
শিক্ষকরা পরিস্থিতি শান্ত করতে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, তবে শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি। ক্যাম্পাসে র্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ প্রবেশ করলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
সকাল থেকে শুরু হওয়া এ অচলাবস্থা শেষ পর্যন্ত বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কিছুটা স্বস্তির পথে গড়ায়, যখন দুই উপদেষ্টা, প্রেস সচিব এবং পুলিশ কর্মকর্তারা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। কিন্তু সড়কে চলমান অবরোধের কারণে তারা আবারও ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
পরিস্থিতি শান্ত হলেও শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ ও দাবির বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আন্দোলন পরবর্তী সময়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে ক্যাম্পাস।
repoter




