ছবি: -সংগৃহীত ছবি
সরকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব হিসেবে রেহানা পারভীনকে নিয়োগ দিয়েছে। তাকে বদলির মাধ্যমে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই নিয়োগের মাধ্যমে রেহানা পারভীন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইতিহাসে প্রথম নারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।
রেহানা পারভীনের নিয়োগ মূলত সেই সময়ে এসেছে যখন বিভাগটি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং প্রশাসনিক পরিবর্তনের মুখোমুখি। তিনি আগের পদে ছিলেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান। তার দায়িত্বভার গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণ এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনার আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য, গত ২১ জুলাই রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমানের বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় স্কুলের পরীক্ষার রুটিন নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে বিক্ষোভ দেখা দেয়। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ২২ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এই প্রশাসনিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে রেহানা পারভীনের নিয়োগ কার্যকর হয়েছে।
রেহানা পারভীন তার পূর্ববর্তী পদে দক্ষতা ও নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছেন। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। তার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি দক্ষ জনবল তৈরিতে গুরুত্বসহকারে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার মাধ্যমে তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়ন, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীর কল্যাণমূলক উদ্যোগগুলোতে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, রেহানা পারভীনের নিযুক্তি শুধুমাত্র প্রশাসনিক পরিবর্তন নয়, এটি শিক্ষাক্ষেত্রে নারী নেতৃত্বের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তার নিয়োগ শিক্ষাক্ষেত্রে নারী নেতৃত্বকে শক্তিশালী করবে এবং প্রশাসনিক সংস্কৃতিতে সমতার দিককে আরও প্রসারিত করবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ দেশের শিক্ষানীতি, পরীক্ষার রুটিন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তত্ত্বাবধান এবং শিক্ষার্থী কল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি সংস্থা। সচিব হিসেবে রেহানা পারভীনের দায়িত্বশীলতা শিক্ষা নীতি প্রণয়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর সম্ভাব্য বিভিন্ন শিক্ষানীতি ও প্রশাসনিক সংস্কার কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা, পরীক্ষার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রযোজ্য হবে। রেহানা পারভীনের পদ গ্রহণ শিক্ষাক্ষেত্রে প্রশাসনিক দক্ষতা ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনার ক্ষেত্রে আশা বৃদ্ধি করেছে।
সরকারের এই পদক্ষেপ শিক্ষা ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা এবং কার্যকর প্রশাসনিক নেতৃত্ব প্রদানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীর কল্যাণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা এবং নীতি নির্ধারণে তার নেতৃত্ব দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
রেহানা পারভীনের দায়িত্ব গ্রহণ শিক্ষাক্ষেত্রে প্রশাসনিক পরিবর্তনের পাশাপাশি নারী নেতৃত্বের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার নেতৃত্ব শিক্ষাক্ষেত্রে প্রশাসনিক দক্ষতা, নীতি নির্ধারণ এবং শিক্ষার্থীর কল্যাণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিক নির্দেশ করবে।
repoter




