ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০৪:০৬ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

কুষ্টিয়ায় মা-ছেলে হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

repoter

প্রকাশিত: ০৩:৪৮:৩৩অপরাহ্ন , ২০ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৩:৪৮:৩৩অপরাহ্ন , ২০ নভেম্বর ২০২৪

হত্যার দায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

ছবি: হত্যার দায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডাকাতি করতে গিয়ে ছানোয়ারা বেগম (৪৮) ও তার ছেলে রাজ (৮) হত্যার দায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সোহানী পূশণ এ রায় দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী অরুপ রায়হান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামের ইমরান হোসেনের ছেলে আলী আকবর, মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে লালচাঁদ মন্ডল এবং একই উপজেলার জোয়ার্দ্দারপাড়া এলাকার সেকেন্দার মোল্লার ছেলে হানিফ মোল্লা।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার পেছনের ঘটনা:
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর রাতে দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামে ছানোয়ারা বেগম ও তার ছেলে রাজ ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় ডাকাতির উদ্দেশ্যে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে আসামিরা। ছানোয়ারা বেগম জেগে উঠে চিৎকারের চেষ্টা করলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর তার ছেলে রাজকেও একইভাবে হত্যা করে আসামিরা। হত্যার পর তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছানোয়ারার গলায় মাফলার ও রাজের গলায় গামছা পেঁচিয়ে দেওয়া হয়।

পরে তারা বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। নিহত ছানোয়ারা বেগম সোনাইকান্দি গ্রামের মানিকের স্ত্রী।

ঘটনার পরদিন, ১৮ নভেম্বর, নিহতের আত্মীয় পারভিনা খাতুন দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণের পর বিচারক মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিচারক সোহানী পূশণের বেঞ্চ সহকারী অরুপ রায়হান জানান, “ডাকাতি করতে গিয়ে মা-ছেলেকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।”

repoter