
ছবি: ফাইল ছবি
সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ তার এক বিস্ফোরক দাবি দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তার অভিযোগ, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে গিয়ে তিনি খাবারে বিষক্রিয়ার শিকার হন। মেলবোর্নে কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় তার খাবারে বিষ মেশানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক এই তারকা।
জোকোভিচ জানান, করোনাকালে ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাকে মেলবোর্নের একটি হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল এবং পরে সেখান থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ওই কোয়ারেন্টিনে থাকার সময়ই তিনি শারীরিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। তার ভাষায়, “মেলবোর্নে যে হোটেলে আমাকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল, সেখানে আমার খাবারে বিষ মেশানো হয়েছিল। সেই কারণেই আমার শরীর খারাপ হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “ওই সময় আমার প্রচণ্ড জ্বর হয়েছিল এবং সার্বিয়ায় ফিরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পর আমার শরীরে উচ্চমাত্রার সীসা ও পারদের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এটি ছিল আমার জন্য একটি ধাক্কা।” জোকোভিচ এই বিষক্রিয়ার ঘটনাকে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ মনে করেন এবং তিনি বলেন, “এটাই একমাত্র ব্যাখ্যা, যা আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে।”
২০২২ সালের এই ঘটনাটি নিয়ে এর আগে কখনো প্রকাশ্যে কথা বলেননি জোকোভিচ। তবে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে এটি তার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়ায় যতবার এসেছি এবং পাসপোর্ট পরীক্ষা হয়েছে, ততবার ২০২২ সালের সেই স্মৃতি ফিরে এসেছে। আজও অভিবাসন প্রক্রিয়ার সময় আমার অস্বস্তি হয়।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিতে না পারলেও পরের বছর জোকোভিচ সফলভাবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নেন এবং তার ক্যারিয়ারের ১০ম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপা জয় করেন। তবে ২০২২ সালের সেই কোয়ারেন্টিন অভিজ্ঞতা তার মনের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।
জোকোভিচের এ বক্তব্যের পর তার অভিযোগ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ২০২২ সালে তার কোয়ারেন্টিনের সময়ের পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে নতুন করে আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ কিংবা টেনিস সংস্থা কোনো মন্তব্য করেনি।
repoter