
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের আদালতে নাটকীয় আচরণ সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে শুনানির সময় তিনি কাঁদলেও, রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর হাসতে হাসতে হাজতখানায় ফিরে গেছেন। এই ঘটনা আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত সবার নজর কেড়েছে।
শুনানির সময় শাজাহান খান কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে শুরু করেন এবং বলেন, "আমার বড় ছেলে আসিবুর রহমানের সঙ্গে পাঁচ মাস দেখা নেই।" তিনি আরও দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা দেওয়া হয়েছে এবং তিনি এই মামলার সঙ্গে জড়িত নন। আদালতে তিনি দুই হাত জোড় করে বিচারকের কাছে কথা বলার সময় চান এবং টিস্যু দিয়ে চোখের পানি মুছতে দেখা যায়।
শাজাহান খানের আইনজীবী মিজানুর রহমান বাদশা আদালতে জানান, শাজাহান খান আটবারের সংসদ সদস্য ও দুইবারের মন্ত্রী ছিলেন। তার বয়স ৭৬ বছর এবং আগের রিমান্ডে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আইনজীবী আরও বলেন, রোজার মধ্যে রিমান্ডে নিলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে, তাই রিমান্ড নামঞ্জুর করার আবেদন জানান।
তবে আদালত শুনানির পর বাড্ডা থানার রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় শাজাহান খানের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর শাজাহান খান হেলমেট, বুলেট প্রুভ জ্যাকেট ও হাতকড়া পরিয়ে আদালত থেকে বের করা হয়। হাজতখানায় নেওয়ার সময় তিনি হাসতে হাসতে বলেন, "পুলিশ বলেছে কথা বলা নিষেধ। অথচ এটা গণতান্ত্রিক দেশ। আমি সারাজীবন কথা বলে এসেছি, কথা বলেই যাব।"
শাজাহান খানের এই নাটকীয় আচরণ আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত সবার মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তার কান্না থেকে হাসিতে পরিবর্তন অনেকের কাছেই বিস্ময়কর মনে হয়েছে। সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত চলছে এবং রিমান্ডে তার জেরা চলবে বলে জানা গেছে।
repoter