ছবি: ছবি: সংগৃহীত
‘কাসারেক্স ২০২৫’ নামের এই মহড়া চলবে তিন দিনব্যাপী, নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বৃদ্ধিই প্রধান লক্ষ্য
ইরান ও রাশিয়া যৌথভাবে আগামী সপ্তাহে কাস্পিয়ান সাগরে একটি সামুদ্রিক উদ্ধার ও ত্রাণ মহড়া আয়োজন করতে যাচ্ছে। ‘কাসারেক্স ২০২৫’ নামে পরিচিত এই মহড়া শুরু হবে সোমবার এবং তা চলবে তিন দিনব্যাপী।
মহড়ার আয়োজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ইরানি নৌবাহিনীর উত্তরাঞ্চলীয় বহর। এবারের মহড়ার মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে— ‘একসাথে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখি কাস্পিয়ান সাগর’। এই প্রতিপাদ্য তুলে ধরছে কাস্পিয়ান অঞ্চলে নৌ নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রতি অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর গুরুত্বারোপ।
এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে ইরানের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা ও বাহিনী, যার মধ্যে রয়েছে ইরানি নৌবাহিনী, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) নৌ শাখা এবং আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর প্রতিনিধিরা। রাশিয়ার নৌবাহিনীর সদস্যরাও এতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন।
এছাড়াও কাস্পিয়ান সাগর তীরবর্তী অন্যান্য কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত থাকবেন মহড়ায়। এতে অংশগ্রহণকারী বাহিনীগুলোর মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ তৈরি হবে এবং সমন্বিত প্রতিক্রিয়া সক্ষমতা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের ওপর ভিত্তি করে গঠিত এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর সংলগ্ন দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি, যৌথ কৌশল চর্চা, এবং দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের সময় দ্রুত সাড়া দেওয়ার প্রস্তুতি শক্তিশালী করা। একই সঙ্গে এই যৌথ কার্যক্রম সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মহড়ার মাধ্যমে কেবল সামরিক নয়, বরং মানবিক সহায়তা ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বার্তাও তুলে ধরা হচ্ছে। আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে আস্থা তৈরির পাশাপাশি এটি বহুপাক্ষিক নিরাপত্তাব্যবস্থার একটি মডেল হিসেবেও কাজ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কাস্পিয়ান সাগর দীর্ঘদিন ধরেই কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল। এ অঞ্চলে নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মহড়া সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের একটি যৌথ প্রয়াস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ইরান ও রাশিয়ার নৌবাহিনীর মধ্যে পূর্বেও বিভিন্ন সময় যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে, তবে ‘কাসারেক্স ২০২৫’ মহড়ায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উদ্ধার ও ত্রাণ প্রস্তুতিতে পারস্পরিক সমন্বয় ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর।
এই মহড়া ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত সহযোগিতার ভিত্তি গড়ে তুলবে বলেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ।
repoter

