ছবি: ছবি: সংগৃহীত
২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুটা শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দিলেন প্রবাসীরা। সদ্য সমাপ্ত জুলাই মাসে তারা দেশে পাঠিয়েছেন ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে একক মাস হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
গত অর্থবছরের একই সময়ে, অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে প্রবাসী আয় ছিল ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। সেই তুলনায় চলতি বছরের জুলাইয়ে আয় বেড়েছে ৫৬ কোটি ৪২ লাখ ডলার, অর্থাৎ প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৩ শতাংশ। রেমিট্যান্স প্রবাহে এই উল্লম্ফন ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই আয় গত পাঁচ বছরের মধ্যে একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ দ্বিতীয়। এর আগে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই মাসে, যার পরিমাণ ছিল ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার।
প্রতিবেদন অনুসারে, জুলাই মাসের রেমিট্যান্সের একটি বড় অংশ এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এ খাতে ১৬৮ কোটি ৯৭ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৪ কোটি ৭৬ লাখ ডলার এবং বিশেষায়িত ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২২ কোটি ৯২ লাখ ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে এসেছে ১১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হুন্ডি বা অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের ব্যবহার কমিয়ে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলকেই বেশি ব্যবহার করছেন, যার ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। সরকারের নানা প্রণোদনা, বৈধ পথে টাকা পাঠানোর উৎসাহ এবং একাধিক দেশের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অবস্থান জোরালো হওয়াও এই বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে ধরা হচ্ছে।
রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। এই আয়ের ওপর নির্ভর করেই দেশ চালায় আমদানি, ঋণ পরিশোধ এবং বৈদেশিক লেনদেন। তাই জুলাই মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে এই উচ্চ প্রবণতা অর্থনীতির জন্য স্বস্তির খবর নিয়ে এসেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে তা দেশের মুদ্রা বাজার ও বৈদেশিক রিজার্ভে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে।
repoter


