ছবি: ছবি: সংগৃহীত
প্রকৃত মৎস্যজীবীদের অধিকার নিশ্চিতে নতুন নীতিমালার আশ্বাস ফরিদা আখতারের
সারা দেশের হাওর, বাওর, বিল ও জলাশয়গুলোর জলমহাল ইজারাকে ঘিরে দীর্ঘদিনের সমস্যার কথা উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, প্রকৃত মৎস্যজীবীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার জলমহাল ইজারা নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যেসব এলাকায় প্রকৃত মৎস্যজীবীরা রয়েছেন, সেসব এলাকার জলমহালের একমাত্র অধিকার তাদেরই থাকবে।
রবিবার সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নিমগাছি এলাকায় সমাজভিত্তিক মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এবং সুফলভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ফরিদা আখতার আরও বলেন, দেশের ছাত্র-যুবক ও তরুণরা জুলাই মাসে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে এবং দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে বড় ভূমিকা রেখেছে। এই পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে সরকার ব্যর্থ হলে, সেটি হবে সরকারের একটি বড় ব্যর্থতা। তিনি যুবসমাজকে কার্যকরভাবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান, সমাজভিত্তিক মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক শহীদুল ইসলাম, রায়গঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. খাদিজা খাতুন এবং উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম।
এর আগে সকালে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার সোনাখাড়া ইউনিয়নের বাশাইল গ্রামে ইউটিসির উদ্যোগে আয়োজিত একটি উঠান বৈঠকে প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের সঙ্গে হাঁস-মুরগি পালনের নানা দিক নিয়ে মতবিনিময় করেন। একই দিনে তিনি রায়গঞ্জের ঐতিহ্যবাহী জয়সাগর দিঘিতে মাছ অবমুক্ত করেন।
সরকারি পর্যায়ের এই সফর ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। উপস্থিত মৎস্যজীবীরা তাদের অভিজ্ঞতা ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং নীতিমালায় পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আশ্বাস দেন, মৎস্যজীবীদের অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতেই সরকারের এই পরিকল্পনা এবং তাদের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়েই নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে দীর্ঘদিন ধরে জলমহাল ইজারা ব্যবস্থাপনায় যে অনিয়ম ও বৈষম্য চলে আসছে, তা কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে স্থানীয় মৎস্যজীবী সমাজ মনে করছে।
repoter




