
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
ঝিনাইদহে রেললাইনের দাবির আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, "ঝিনাইদহে রেললাইনের দাবির আন্দোলন যদি বেগবান করতে পারেন, আমি আপনাদের সঙ্গে সতীর্থ থাকব।" মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকাস্থ ঝিনাইদহ সাংবাদিক ফোরামের ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, "ঝিনাইদহ অত্যন্ত অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর একাংশ। আমাদের সেই জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দাবি আদায়ের প্রচেষ্টাকে সবসময় সাধুবাদ জানাব। ঝিনাইদহের উন্নয়নের জন্য আপনারা যে যেভাবে পারেন ভূমিকা রাখুন।"
তিনি আরও বলেন, "ঝিনাইদহে রেললাইনের দাবির আন্দোলন যদি বেগবান করতে পারেন, আমি আপনাদের সঙ্গে সতীর্থ থাকব। আমরা যে যেখানে থাকি, ঝিনাইদহের উন্নয়নের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, এতদিন আমরা যে বৈষম্যের শিকার হয়েছি, সেই বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে সমতা আনতে গেলে আমাদের এ ধরনের প্ল্যাটফর্ম ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা দরকার। সেই প্রচেষ্টায় আমি আপনাদের স্বপ্নের একজন সারথি ও সহযাত্রী হব।"
ঝিনাইদহের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা
অ্যাটর্নি জেনারেল তার বক্তব্যে ঝিনাইদহের উন্নয়নে স্থানীয় ও প্রবাসী সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "ঝিনাইদহের উন্নয়নের জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রেললাইনের দাবি শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য নয়, এটি ঝিনাইদহের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নেরও একটি বড় পদক্ষেপ।"
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাছির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ ঝিনাইদহ সাংবাদিক ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশ ও কোষাধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম পলি প্রমুখ।
ঝিনাইদহে রেললাইনের দাবি দীর্ঘদিনের। এই রেললাইন স্থাপিত হলে ঝিনাইদহের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে, যা স্থানীয় অর্থনীতিকে গতিশীল করবে। অ্যাটর্নি জেনারেলের সমর্থন এই আন্দোলনকে নতুন গতি দিতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা।
অ্যাটর্নি জেনারেল তার বক্তব্যে ঝিনাইদহের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "ঝিনাইদহের উন্নয়ন শুধু স্থানীয় বাসিন্দাদের দায়িত্ব নয়, প্রবাসী ঝিনাইদহবাসীদেরও এই প্রচেষ্টায় অংশ নেওয়া উচিত। আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি, তাহলে ঝিনাইদহের উন্নয়ন অবশ্যই সম্ভব।"
ঝিনাইদহ সাংবাদিক ফোরামের এই আয়োজন স্থানীয় উন্নয়ন ও রেললাইনের দাবিকে কেন্দ্র করে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। অ্যাটর্নি জেনারেলের সমর্থন ও উপস্থিতি এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঝিনাইদহের উন্নয়নে রেললাইনের দাবি শুধু একটি প্রকল্প নয়, এটি ঝিনাইদহবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক
repoter