ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০৩:৪২ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

জাতীয় নির্বাচনে মোতায়েন থাকবে ৬০ হাজার সেনা সদস্য: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

repoter

প্রকাশিত: ০৬:১০:২৯অপরাহ্ন , ২৮ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ০৬:১০:২৯অপরাহ্ন , ২৮ জুলাই ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৬০ হাজার সেনাসদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।

এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে একটি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বাহিনীগুলোর প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর—এই তিন মাসে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। এতে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও সুসংহত রাখা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে কোথায় কোথায় সহিংসতা বা অস্থিরতা ঘটতে পারে, এমন সম্ভাব্য কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ‘সিচুয়েশন রিপোর্ট’ কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব জানান, নির্বাচনী সময়ের প্রশাসন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কার কোথায় বদলি প্রয়োজন বা প্রশাসনে কীভাবে রদবদল হতে পারে—এই বিষয়গুলো নিয়েও সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এমন পরিবর্তনগুলো নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে করা হবে বলে জানান তিনি।

নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ৬০ হাজার সেনাসদস্য মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধ, ভোটারদের নিরাপত্তা এবং ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতেই সেনাবাহিনীর এই উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন একসঙ্গে কাজ করছে এবং নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক এবং তিনি প্রতিটি দপ্তরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করছেন।

এ সময় আরও জানানো হয়, নির্বাচনকেন্দ্রিক যেকোনো প্রকার অস্থিতিশীলতা মোকাবেলায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হবে। একই সঙ্গে প্রতিটি এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।

সভা ও প্রেস ব্রিফিং শেষে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেন, নির্বাচনকালীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় ও নিরপেক্ষ ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এসব সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী এবং কার্যকর বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

repoter