ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ১২:৪৫ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

জাতীয় খো-খো'র দ্বৈত শিরোপা জয় করল বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি

repoter

প্রকাশিত: ০৭:১৯:৩১অপরাহ্ন , ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ০৭:১৯:৩১অপরাহ্ন , ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

-সংগৃহীত ছবি

ছবি: -সংগৃহীত ছবি

ঢাকা – ৮ম জাতীয় খো-খো প্রতিযোগিতা ২০২৫-এ বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি উভয় বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। রবিবার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ফাইনালে পুরুষ বিভাগে চট্টগ্রাম জেলা এবং মহিলা বিভাগে নীলফামারী জেলার বিপক্ষে মনোমুগ্ধকর জয় অর্জন করে আনসার। পুরুষ বিভাগে চট্টগ্রামকে ৮ পয়েন্টে হারিয়ে শীর্ষ স্থানে অধিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আনসার। অন্যদিকে নারী বিভাগে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট ও ছয় মিনিট বাকি থাকতে নীলফামারীকে পরাজিত করে শীর্ষস্থান দখল করে তারা।

মহিলা বিভাগের তৃতীয় স্থান অর্জন করে গাজীপুর জেলা, যা স্থান নির্ধারণী ম্যাচে যশোর জেলাকে পরাজিত করার মাধ্যমে নিশ্চিত করে। পুরুষ বিভাগের তৃতীয় স্থান অর্জন করে নীলফামারী জেলা, যারা বাগেরহাটকে হারিয়ে পদক নিশ্চিত করে। এইভাবে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মধ্যে উত্তেজনা ও মনোমুগ্ধকর খেলার দৃশ্য দেখা যায়।

প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বাংলাদেশ খো-খো ফেডারেশন, পৃষ্ঠপোষকতা করেছে মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং সহযোগিতায় ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তিন দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা শুক্রবার পল্টন ময়দানে শুরু হয়। এবারের আসরে মোট ২৪টি জেলা দল অংশগ্রহণ করে, যার মধ্যে পুরুষ ও মহিলা উভয় বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল তীব্র ও সমানভাবে প্রতিযোগিতাপূর্ণ।

ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ডিএমডি অসীম কুমার সাহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ডিজিএম শেখ মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খো-খো ফেডারেশনের সভাপতি এ এইচ এম জিয়াউল হক। এছাড়া ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর কায়ছার সাদিক, টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুর মুকতাদির এবং সদস্য সচিব মতিউর রহমান বাবুল উপস্থিত ছিলেন।

এই প্রতিযোগিতায় নীলফামারী জেলার মাত্র ১২ বছর বয়সী লুবা আক্তারের পারফরম্যান্স দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। পঞ্চম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী তার দক্ষতা ও নৈপুণ্যে পুরো প্রতিযোগিতাজুড়ে আলো কাড়েন এবং ভবিষ্যতের জন্য খেলার সম্ভাবনার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

ফেডারেশনের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের যুবসমাজের মধ্যে খেলা, একাগ্রতা, কৌশলগত চিন্তাভাবনা এবং দলের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে জাতীয় পর্যায়ে আয়োজন হওয়ায় খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক মানের দক্ষতা অর্জনের দিকে আরও অনুপ্রাণিত হয়।

প্রতিযোগিতার তীব্রতা ও উত্তেজনা ফাইনাল ম্যাচে পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়। পুরুষ ও মহিলা উভয় বিভাগের খেলা দর্শকদের জন্য ছিল এক অসাধারণ খেলার প্রদর্শনী। প্রতিযোগিতার প্রতিটি ম্যাচেই খেলোয়াড়রা তাদের দক্ষতা, দ্রুততা ও কৌশল প্রদর্শন করে। বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি তাদের দৃঢ় মনোবল এবং কার্যকর কৌশলের মাধ্যমে জয় নিশ্চিত করে।

বাংলাদেশ খো-খো ফেডারেশনের সভাপতি এ এইচ এম জিয়াউল হক বলেন, “এ ধরনের জাতীয় প্রতিযোগিতা দেশের খেলার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খেলোয়াড়দের উৎসাহ ও মনোযোগ দেখলে আশা করি ভবিষ্যতে আরও অনেক আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাফল্য আমাদের সামনে অপেক্ষা করছে।”

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর কায়ছার সাদিক বলেন, “খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয়, আত্মনির্ভরতা এবং নেতৃত্বগুণ বিকাশে এই জাতীয় প্রতিযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম। পাশাপাশি দর্শকদের উৎসাহ ও সহযোগিতা খেলোয়াড়দের মনোবল আরও বাড়িয়েছে।”

প্রতিযোগিতার আয়োজন ও পৃষ্ঠপোষকতায় মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা শুধুমাত্র অর্থায়নই করেনি, বরং খেলোয়াড়দের মানোন্নয়ন এবং জাতীয় খেলার মান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে।

এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলা তাদের প্রতিভা ও দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। এছাড়া নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়রা জাতীয় পর্যায়ে সুযোগ পেয়ে তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার দিকে আরও অনুপ্রাণিত হয়েছে। আগামী বছরও এই জাতীয় খো-খো প্রতিযোগিতার আয়োজন আরও বড় ও ব্যাপক আকারে করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ফাইনাল শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীরা ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতায় আরও ভালো করার প্রতিশ্রুতি দেন। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা আশা প্রকাশ করেন, আগামী আসরে আরও বেশি জেলা অংশগ্রহণ করবে এবং খেলার মান আরও উন্নত হবে।

repoter