ছবি: ছবি: সংগৃহীত
জামালপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক পথসভা শেষ হওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাফায়াত তূর্যের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর এনসিপির জেলা কমিটির সদস্য আবিদ সৌরভ ও তার সমর্থকদের দিকে। হামলায় আহত তূর্য বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৮ জুলাই) বেলা দেড়টার দিকে জামালপুর পৌর শহরের ফৌজদারি মোড়ে। সেখানেই এনসিপি তাদের পথসভা আয়োজন করেছিল। সভা শেষ হওয়ার পরপরই এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আহত সাফায়াত তূর্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জামালপুর জেলা শাখার যুগ্ম-সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন, “আমি আমার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ফৌজদারি মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় হঠাৎ করে আবিদ সৌরভের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল আমাকে ঘিরে ফেলে এবং অতর্কিতে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।”
তূর্য আরও জানান, কিছুদিন আগে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে আবিদ সৌরভের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। তার দাবি, ওই পোস্টের প্রতিশোধ নিতেই তার ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে।
এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেত্রী নাফিসা দিয়া বলেন, “আমি, তূর্য এবং আরও একজন বন্ধু একসঙ্গে কথা বলছিলাম। হঠাৎ এক যুবক এসে তূর্যকে জিজ্ঞেস করে, ভাই কেমন আছেন? তারপরই কোনো পূর্বসংকেত ছাড়াই ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল এসে আমাদের ওপর চড়াও হয় এবং তূর্যকে মারধর করে।”
এদিকে অভিযুক্ত এনসিপি নেতা আবিদ সৌরভ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “পথসভা শেষ হওয়ার পর আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সার্কিট হাউসে ছিলাম। পরে শুনি তূর্যের ওপর হামলা হয়েছে। তখন আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে তাকে দেখতে যাই। আমি জানি না কে বা কারা এ হামলা করেছে। আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”
এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বলেন, “এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ জমা দেয়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনার ফলে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
repoter

