ছবি: -সংগৃহীত ছবি
ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান খুঁজতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে অংশ নিতে ওয়াশিংটন থেকে আলাস্কার উদ্দেশে যাত্রা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজ শহরে দুই নেতার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয়েই ঐতিহাসিক হিসেবে বিবেচনা করছে।
ট্রাম্পের সঙ্গে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিক এবং সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) প্রধান জন র্যাটক্লিফ। অন্যদিকে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটাই পুতিনের প্রথম পশ্চিমা সফর। এই বৈঠকের আয়োজন পুতিনের প্রস্তাবেই করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে আলোচনার আগে সতর্কবার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, যদি পুতিন সমঝোতার পথে না আসেন, তাহলে আলোচনা কয়েক মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। ট্রাম্প এই বৈঠককে “পরীক্ষামূলক আলোচনা” হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যেখানে মূলত পুতিনের মনোভাব যাচাই করা হবে। তার ধারণা, আলোচনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৭৫ শতাংশ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সরাসরি আলোচনায় না থাকলেও তিনি এই বৈঠকের ফলাফল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। জেলেনস্কি ইতিমধ্যে ট্রাম্পের চাপের মুখেও ভূমি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ট্রাম্পের মতে, যদি কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়, তা হবে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে।
বৈঠকটি স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১টা) আলাস্কার এলমেনডর্ফ বিমান ঘাঁটিতে শুরু হবে। শীতল যুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের ওপর নজরদারির জন্য এই ঘাঁটিটি ব্যবহার করা হতো।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৮৬৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার কাছ থেকে আলাস্কা কিনে নেয়। আজও রাশিয়া এই ক্রয়কে ভূখণ্ড বিনিময়ের একটি উদাহরণ হিসেবে দেখে। তাই আলাস্কায় এই বৈঠককে উভয় দেশের জন্য প্রতীকী গুরুত্বের বলে মনে করা হচ্ছে।
দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের এই মুখোমুখি সাক্ষাৎ বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মোড় আনতে পারে কিনা, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা চলছে। ইউক্রেন যুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থা নিরসনে এই আলোচনাকে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখলেও, পক্ষগুলোর অবস্থানগত পার্থক্য সমাধানকে কঠিন করে তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
repoter

