ছবি: ছবি: সংগৃহীত
গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বর্বর হামলায় আরও ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার ৮০০ জনে। আহতের সংখ্যা লক্ষাধিক ছাড়িয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, শনিবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর চালানো হামলায় গাজার বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেইট ফুরিক গ্রামে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেছে।
আল জাজিরার পৃথক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শনিবার উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে, উত্তর গাজার বেইট লাহিয়ায় একটি বিমান হামলায় তিনজন নিহত হন এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।
আহতদের জরুরি চিকিৎসার জন্য আল-আহলি ব্যাপটিস্ট এবং কামাল আদওয়ান হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেইট লাহিয়া এবং জাবালিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র আর্টিলারি শেলিংয়ে পশ্চিম জাবালিয়ার কয়েক ডজন বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া গাজার শহরে এক ধ্বংসস্তূপ থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে চিকিৎসা সূত্রে জানানো হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৭৯৯ জন নিহত এবং ১ লাখ ৩ হাজার ৬০১ জন আহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।
জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির আহ্বানের পরেও ইসরায়েল তার আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আক্রমণের জবাবে ইসরায়েল গাজায় যে তাণ্ডব চালাচ্ছে, তাতে হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ অসংখ্য স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি এই নৃশংস হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন ফিলিস্তিনিরা
repoter