ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০২:০৯ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

দ্রুত নির্বাচন দিন, না হয় কঠোর আন্দোলনে নামব: সোহেল

repoter

প্রকাশিত: ০৯:২৪:৫৩অপরাহ্ন , ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ০৯:২৪:৫৩অপরাহ্ন , ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

রাঙামাটি, ২৪ ফেব্রুয়ারি – বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করলে কঠোর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবে বিএনপি। সোমবার বিকেলে রাঙামাটির শহীদ আবদুস শুক্কুর স্টেডিয়ামে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের কোটি কোটি তরুণ এখনও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। সরকার নির্বাচন নিয়ে যে জটিলতা তৈরি করছে, তা দেশের জনগণ সহ্য করবে না। আপনাদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয়, আপনারা ভয় পেয়েছেন। সুতরাং, দেরি না করে দ্রুত নির্বাচন দিন, অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকুন।’

বিএনপির এই জনসভা ১৯ বছর পর রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হলো। সর্বশেষ ২০০৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে এখানে জনসভা হয়েছিল। দীর্ঘদিন পর আয়োজিত এই সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ্য করা গেছে।

জনসভায় হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ছাত্র আন্দোলন নিয়ে বলেন, ‘অনেক ছাত্র ভাই মনে করেন, সব তারাই করেছেন। কিন্তু আন্দোলন গড়ে তোলার পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ১৬ বছরের ত্যাগ-তিতিক্ষা। বিএনপি ধাপে ধাপে যে আন্দোলনের ভিত তৈরি করেছিল, সেই আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করেই ছাত্ররা তাদের সংগ্রাম চালিয়েছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, সরকার বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে বাধা দিচ্ছে। ‘অনুমতির জন্য ঘুরতে হয়েছে, কিন্তু জানানো হয়েছে হাসিনার অনুমতি নেই। অনুমতি পেলেও সর্বত্র তল্লাশি চালানো হয়েছে, মোবাইল ফোন চেক করা হয়েছে, নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করা হয়েছে,’ বলেন তিনি।

সোহেল আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে এক নেতা বলতেন, খেলা হবে। আমরা ভাবতাম ফুটবল বা ক্রিকেটের খেলা হবে। কিন্তু পরে বুঝলাম, এটা অস্ত্রের খেলা। আমরা সেই খেলা খেলি না। যারা এই খেলার হুমকি দিত, তারা এখন কোথায়? সব লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে, তারা আর ফিরতে পারবে না।’

তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা ও তার পরিবার দেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছেন। ‘শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনা করেছেন, আর শেখ রেহেনার অনুমতি ছাড়া কেউ ব্যবসা চালাতে পারেননি। শেখ পরিবার পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবার। অনেকে বলে আপা আসবে। আমরা বলি, আপা আসুক, কিন্তু আসার আগে জনগণের সব টাকা ফেরত দিক এবং তাকে হাতকড়া পরিয়ে জেলে নেওয়া হোক।’

জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুনের সঞ্চালনায় এই জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহাবুবের রহমান শামীম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ (ভিপি হারুন), সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ধর্ম বিষয়ক সহ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান, উপজাতি বিষয়ক সহ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) মনীষ দেওয়ান, প্রাক্তন সাংসদ ও উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ানসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

repoter