ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০৩:৫৩ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

ধর্ষকদের প্রকাশ্য ফাঁসির দাবিতে মধ্যরাতে মশাল মিছিল ঢাবি ছাত্রীদের

repoter

প্রকাশিত: ০২:৪৭:২৩পূর্বাহ্ন, ০৮ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ০২:৪৭:২৩পূর্বাহ্ন, ০৮ মার্চ ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

ধর্ষকদের প্রকাশ্য ফাঁসির দাবিতে মধ্যরাতে মশাল মিছিল করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি ভিসি চত্বর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় রোকেয়া হলে ফিরে আসে। মিছিলে ছাত্রীরা ধর্ষকদের প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর এবং বিগত বছরগুলোতে যারা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান।

মিছিলে তারা ‘ধর্ষকদের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, হ্যাঙ্গ দ্যা রেপিস্ট’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, ধর্ষকদের কবর দে’সহ নানান স্লোগান দেন। এছাড়া মাগুরায় একটি শিশু ধর্ষণের ঘটনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর একজন নারী শিক্ষার্থী স্লোগান দেন, ‘আমরা কি ধর্ষকদের বাইরে দেখতে চাই?’ উত্তরে বাকি ছাত্রীরা সমস্বরে ‘না’ বলে ওঠেন।

শিক্ষার্থী আদিবা সায়মা খান বলেন, ‘আমরা ধর্ষকদের স্থায়ী শাস্তি চাই। আমরা যদি বাইরে বের হই এবং আমাদের যদি নিরাপত্তাই না থাকে, তাহলে এই রাষ্ট্র আমাদের কী দিচ্ছে? সরকারের দায়িত্ব আমাদের নিরাপত্তা দেওয়া। আইন-শৃঙ্খলা উন্নত করা। ধর্ষকদের এমন শাস্তি দেওয়া যেন অন্য কেউ পুনরায় এমন চেষ্টাও না করে।’

অন্য এক শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার আরজু বলেন, ‘সম্প্রতি একটি শিশুর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে দুজন পুরুষ ও একজন নারী জড়িত। এই ধর্ষকদের আমরা প্রকাশ্য ফাঁসি চাই। যে মহিলা সহযোগী ছিল, তারও ফাঁসি চাই। ধর্ষণ প্রমাণিত হলে, তার একমাত্র শাস্তি হবে প্রকাশ্য ফাঁসি। আমরা আর গ্রেপ্তার-গ্রেপ্তার নাটক দেখতে চাই না। শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা শান্ত হব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে সতর্ক করতে চাই। বিগত বছরগুলোতে যতগুলো ধর্ষণ হয়েছে, সবগুলোর বিচার করতে হবে। সরকার যদি একটা ফাঁসি দেয়, তা দৃষ্টান্ত হয়ে যাবে।’

ছাত্রীরা তাদের বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। তারা সরকার ও প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান, ধর্ষণ মামলাগুলো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি করতে এবং ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে।

মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শুধু আইন প্রণয়ন করলেই চলবে না, তা বাস্তবায়নও জরুরি। ধর্ষণের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণ এবং তা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা। ছাত্রীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন এবং বলেন, যতদিন না ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হয়, ততদিন তারা নিশ্চুপ থাকবেন না।

repoter