
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তার দাবি, "যে ৩২ নম্বর থেকে গুম-খুনের নির্দেশ যেতো, তা ভেঙে ফেলা ঠিক হয়েছে। এই বাড়ি থেকে এমন কোনো অন্যায় নির্দেশনা নেই যা দেওয়া হয়নি। সংসদের সামনে আমাকে নির্যাতনের ঘটনাও এই বাড়িতে পৌঁছেছিল।"
তিনি বলেন, "পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট কিভাবে ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য দেয়? অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা কি করেন? তার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণেই দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে, যা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও ব্যর্থ হবে।"
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "আপনি একজন ভালো ও প্রজ্ঞাবান মানুষ। সংস্কারের নামে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হলে দেশ আরও গভীর সংকটে পড়বে। অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করুন। তাতে ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নিতে পারবে না।"
তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে এই কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাইফ আলী খান, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম, এনডিপির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হোসেন, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রমিজ উদ্দিন রুমি, পিপলস পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিলকিছ ইসলাম, এবং পল্টন থানা বিএনপি নেতা ফিরোজ পাটোয়ারী।
repoter