ছবি: ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন দগ্ধদের কারোই রক্তের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহম্মদ নাসির উদ্দিন। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে দগ্ধদের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বর্তমানে দগ্ধদের কারো রক্ত প্রয়োজন নেই। স্কিনেরও পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে, তাই স্কিন ডোনেশনও গ্রহণ করা হচ্ছে না। অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা করতে চাচ্ছেন, তবে আমরা সবাইকে জানাতে চাই—সরকার সব ধরনের আর্থিক ও চিকিৎসা-সাহায্য দিচ্ছে। বর্তমানে আমাদের কারো কাছ থেকে কোনো বাড়তি সহযোগিতা প্রয়োজন নেই।”
তিনি আরও জানান, “আজ আরও দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ছয়জন রোগীর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। বুধবার (২৩ জুলাই) যেসব ১৩ জন রোগীর অবস্থা গুরুতর ছিল, তাদের অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত। তবে আমরা আশাবাদী, তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হবে।”
অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আরও জানান, গত দুই দিনে মোট ১৩ জন রোগীকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেরই শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনকে শিগগিরই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ হতাহত হন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। এখন পর্যন্ত ১৬৫ জন আহত ব্যক্তি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সর্বশেষ তথ্যে জানানো হয়েছে, জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১১ জন এবং সেখানে বর্তমানে ৪৫ জন দগ্ধ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এ আরও নয়জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সেখানে ভর্তি রয়েছেন ১৫ জন।
প্রেস উইংয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ২৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ৫৭ জন দগ্ধ রোগী এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। দগ্ধ ও আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
repoter




