ছবি: ছবি: সংগৃহীত
২০২৪ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখের ওপর, মৃত্যুর হার কমলেও সতর্কতা অব্যাহত রয়েছে
২০২৪ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোট ৮ হাজার ৮৭০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩২৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, আর দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বোচ্চ ১১৮ জন রোগী বরিশাল বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ জন, ঢাকা বিভাগের সিটির বাইরে ৪৩ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৬ জন, খুলনা বিভাগে ১৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৯ জন, ময়মনসিংহে ৫ জন এবং সিলেট বিভাগে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে ৩১৯ জন রোগী হাসপাতালে থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে মোট ৭ হাজার ৭৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরে গেছেন।
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। যদিও মৃত্যুর সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় কমেছে, স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন।
২০২৩ সালে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ওই বছরে মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ২০২৪ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি দ্রুত শনাক্ত ও চিকিৎসার ব্যবস্থা বৃদ্ধির কারণে মৃত্যুর হার কমে এসেছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, পোকামাকড় নিধন এবং নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়মিতভাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছে যাতে ডেঙ্গু রোগের বিস্তার রোধ করা যায়।
বর্তমান সময়ে বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিশেষ নজরদারি ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিটি নাগরিকের সহযোগিতা জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন। বিশেষ করে, আবর্জনা ও পানির জমে থাকা স্থানগুলো পরিষ্কার রাখা এবং পোকামাকড়ের প্রজননস্থল নষ্ট করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবছর ডেঙ্গু সংক্রমণের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আসলেও বর্ষাকাল এবং গরম আবহাওয়ার কারণে পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তনশীল হতে পারে, তাই সজাগ থাকার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
ডেঙ্গু সংক্রান্ত বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও জনসচেতনতার কারণে অনেকাংশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে, তবে সংক্রমণ রোধে প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বজায় রাখা প্রয়োজন।
repoter





