ছবি: -সংগৃহীত ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। এই প্যানেল থেকে তিনি সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সোমবার মনোনয়ন ফরম গ্রহণের শেষ দিনে নিজে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন উমামা ফাতেমা। তিনি জানান, প্যানেল গঠন এবং সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে তারা শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন।
জানা গেছে, এই স্বতন্ত্র প্যানেলে সহ-সভাপতি পদে উমামা ফাতেমা, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আল সাদী ভূইয়া এবং অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে সাংবাদিক সমিতির বর্তমান সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহী থাকবেন। প্যানেলের অন্যান্য সদস্যদের নাম আগামী মঙ্গলবার ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে।
উমামা ফাতেমা বলেন, “আমরা যোগ্যতা এবং শিক্ষার্থীদের উপকারকে প্রধান্য দিয়ে প্যানেল গঠন করেছি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) আমরা পুরো প্যানেল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করব। আমাদের লক্ষ্য একটি শিক্ষার্থীবান্ধব ডাকসু প্যানেল তৈরি করা, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে সক্ষম হবে।”
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণের পাশাপাশি শিক্ষাগত ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য তারা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। প্যানেলের প্রার্থী নির্বাচনের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া।
এদিকে, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সরগরম। বিভিন্ন স্বতন্ত্র ও রাজনৈতিক প্যানেল নির্বাচনী প্রস্তুতি ত্বরান্বিত করেছে। শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যেই নিজেদের পছন্দের প্রার্থী ও প্যানেল সম্পর্কে আলোচনা শুরু করেছেন।
উমামা ফাতেমার এই পদক্ষেপকে অনেক শিক্ষার্থী ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করছেন, নতুন প্রজন্মের স্বতন্ত্র প্যানেল শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যায়পরায়ণ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের শেষ দিনে ছাত্ররা ব্যাপকভাবে উপস্থিত ছিলেন এবং প্রার্থীদের মনোবল ও পরিকল্পনা নিয়ে উৎসাহী ছিলেন। বিশেষ করে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রাক্তন মুখপাত্র হিসেবে উমামা ফাতেমার পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশাবাদ সৃষ্টি করেছে।
পরবর্তীতে, নির্বাচনী প্রচারণা ও বিতর্ক শিক্ষার্থীদের জন্য আরও তথ্যসমৃদ্ধ হবে। প্যানেল ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা তাদের কার্যক্রম, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি এবং নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে।
উমামা ফাতেমা এবং তার প্যানেল এই নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ এবং সমর্থন অর্জনের চেষ্টা করবেন। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান বৃদ্ধি, পরিবেশের উন্নতি এবং ন্যায়সঙ্গত সমাধানের জন্য তারা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ডাকসু নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গণ্য হয়। শিক্ষার্থীরা এই নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে, যারা তাদের শিক্ষাগত ও সামাজিক স্বার্থ সংরক্ষণ করবে। স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন আরও প্রতিযোগিতামূলক ও শিক্ষার্থীবান্ধব হয়ে উঠবে।
উমামা ফাতেমার নেতৃত্বাধীন এই নতুন প্যানেল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ এবং স্বতন্ত্র চিন্তাধারাকে উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, প্যানেল তাদের সমস্যার সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইতিবাচক ও সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলবে।
repoter




