
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। হামলার অভিযোগ নিয়ে সারজিস আলম ও তার অনুসারীরা ভাটারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অন্যদিকে, পাল্টা অভিযোগ নিয়ে থানায় অবস্থান করছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীও।
ভাটারা থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, দুপক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছে। তিনি বলেন, "দুই পক্ষ থানায় এসেছে এবং আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি।"
ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সারজিস আলম তার অনুসারীদের নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি সড়কে কথা বলার সময় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে ধাক্কা-পাল্টা ধাক্কা ও হাতাহাতি শুরু হয়।
সারজিস আলম ফেসবুকে একটি পোস্টে দাবি করেন, ইফতারের পর তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চায়ের আড্ডা দিতে গিয়েছিলেন। তিনি লিখেন, "NSU, IUB, AIUB, UIU-এর শতাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার পর NSU-এর গেটের সামনে ঢাবি সিন্ডিকেটের সদস্যদের স্লোগান দিতে দেখি। তাদের মধ্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ শাকিলও ছিলেন। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আমার সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করতে থাকে।"
তিনি আরও লিখেন, "পরবর্তীতে ছাত্রদলের শাকিল তার নেতৃত্বে টোকাই দুষ্কৃতিকারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। একাধিক জনকে রক্তাক্ত করা হয়।"
সারজিস আলম ছাত্রদলের শাকিল ও তার সহযোগীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি করেন। তিনি সতর্ক করে লিখেন, "১৬ বছর ধরে টোকাইলীগের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার পর আজ যদি ছাত্রদল একই পথে হাঁটে, তাহলে তাদের পরিণতিও একই হবে।"
ঘটনাটি নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে থানায় দুপক্ষের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ঘটনাটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
repoter