
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
চীন সফর শেষে বিএনপি মহাসচিব বললেন, এই সমঝোতা দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে
বিএনপি ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) মধ্যকার সদ্য সম্পন্ন সমঝোতা দুই দেশের মধ্যকার কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় উন্নীত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চীন সফর শেষে শুক্রবার দেশটির শিয়ান বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বিএনপির প্রতিনিধি দল চীন সফর করেছে। এই সফরের মাধ্যমে বিএনপি ও সিপিসির মধ্যে নতুন এক ধরণের সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে আরও গভীর ও কৌশলগত পর্যায়ে নিয়ে যাবে।”
সফরের অংশ হিসেবে বিএনপির প্রতিনিধি দলটি চীনের সানঝি প্রদেশের জিয়ান শহরতলীর একটি আদর্শ কমিউনিটি পরিদর্শন করে। সেখানে কমিউনিটি কমিটির সেক্রেটারি প্রতিনিধি দলকে অভ্যর্থনা জানান এবং কমিউনিটির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে বিশদভাবে তুলে ধরেন। এ কার্যক্রমগুলোর মধ্যে ছিল স্বাস্থ্যসেবা, স্বেচ্ছাশ্রম, প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন এবং শিক্ষা বিষয়ক নানা উদ্যোগ।
প্রতিনিধি দলটি পরিদর্শন করে সংযুক্ত একটি জাদুঘর, যেখানে চীনের বিপ্লব এবং স্বাধীনতার ইতিহাস শিশু-কিশোরদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। দলটি চীনের সমাজ ও রাজনৈতিক কাঠামোকে আরও ভালোভাবে বোঝার সুযোগ পেয়েছে বলে জানা গেছে।
সফরের শেষ পর্যায়ে শিয়ান বিমানবন্দরে বিএনপির প্রতিনিধি দলকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান সিপিসির আন্তর্জাতিক বিভাগের মহাপরিচালকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “এই সফর আমাদের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এ ধরনের সফর ও সংলাপ ভবিষ্যতে আরও পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে।”
এদিকে বিএনপির প্রতিনিধি দলটি শুক্রবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
এই সফরের মাধ্যমে বিএনপি রাজনৈতিক কূটনীতির একটি নতুন অধ্যায় শুরু করল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। চীনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক শক্তির সঙ্গে সরাসরি দলীয় পর্যায়ে যোগাযোগ ও বোঝাপড়ার এই প্রয়াসকে বিএনপির একটি কৌশলগত অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
repoter