ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০২:০৭ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি ও অসম চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন নিয়ে কঠোর অবস্থানে বিএনপি

repoter

প্রকাশিত: ০২:২৯:০৫অপরাহ্ন , ০২ জানুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ০২:২৯:০৫অপরাহ্ন , ০২ জানুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ক্ষমতায় গেলে ভারতের সাথে হওয়া অসম চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করবে বিএনপি। এছাড়াও তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ এনে এই খাতের সমস্ত চুক্তি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি নিয়ে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ খাতে ম্যাজিক দেখানোর নামে দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতের কোনো অংশ দুর্নীতি থেকে মুক্ত ছিল না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্যে দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি এতটাই ভয়াবহ যে, তা রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করেছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতের চুক্তিগুলোতে ভয়াবহ দুর্নীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জনগণের সম্পদ লুটপাট করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এসব চুক্তি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক আলোচনায় আওয়ামী লীগ সরকারের চুরি ও লুটপাটের বিষয়গুলো বারবার সামনে আনা দরকার। এসব বিষয় চাপা পড়ে গেলে তাদের দুর্নীতি মানুষ ভুলে যাবে। আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে দুর্বৃত্তায়নের দিকে নিয়ে গেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিদ্যুৎ খাতকে আওয়ামী লীগ নিজেদের ব্যবসার খাতে পরিণত করেছে। তাদের দুর্নীতির দায় এখন জনগণকে বহন করতে হচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, বর্তমান বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন টেকসই নয় এবং এটি যে কোনো সময় মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।

নজরুল ইসলাম খান বিদ্যুৎ খাতের চুক্তিগুলো জনসম্মুখে উন্মুক্ত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তার মতে, জনগণের ওপর এই চুক্তিগুলোর দায় চাপানোর কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতারা দাবি করেন, বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি সম্পর্কে জনমত গঠনে তাদের কাজ অব্যাহত থাকবে। ক্ষমতায় গেলে এসব দুর্নীতির বিচার ও বিদ্যুৎ খাতের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও দেন তারা।

repoter