ছবি: ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসভবনে বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোসটারের সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন দলটির শীর্ষ নেতারাও
বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোসটার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সস্ত্রীক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত খালেদা জিয়ার বাসভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে এই সাক্ষাতে আলোচনা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের এই সাক্ষাৎকে রাজনৈতিক অঙ্গনে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সাক্ষাতের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোসটার ও তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় শেষে কিছু সময় অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় অংশ নেন।
আখিম ট্রোসটার বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে বিদায় নিচ্ছেন। তাঁর সময়কালে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিস্তার হয়েছে বলে কূটনৈতিক মহলে বলা হয়ে থাকে। বিদায়ের আগে দেশের অন্যতম শীর্ষ রাজনৈতিক নেত্রীর সঙ্গে এই সাক্ষাৎ সেই সম্পর্কেরই একটি প্রতীকী বহিঃপ্রকাশ বলে অনেকেই মনে করছেন।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবেশ এবং মানবাধিকার ইস্যু নিয়েও রাষ্ট্রদূতের আগ্রহ ছিল বলেও কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা ও চিকিৎসা নিয়েও রাষ্ট্রদূতের আগ্রহ থাকতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে। তবে এই সাক্ষাৎ সম্পূর্ণভাবে সৌজন্যভিত্তিক এবং বিদায়ী শুভেচ্ছা বিনিময়ের অংশ হিসেবেই দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের সাক্ষাৎ সবসময়ই রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্ব পেয়ে থাকে। বিশেষ করে যখন কোনো কূটনীতিক বিদায়ের প্রাক্কালে এমন সাক্ষাৎ করেন, তখন তা নানা বার্তা বহন করে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত। বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের এই সৌজন্য সাক্ষাৎও এর ব্যতিক্রম নয়।
সাক্ষাৎ শেষে কোনো পক্ষের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিলেও এই বৈঠক ভবিষ্যত কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং রাজনৈতিক সংলাপের পথে একধরনের ইতিবাচক বার্তা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
repoter

