
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
ভারতের প্রাক্তন ওপেনার শিখর ধাওয়ানের ব্যক্তিগত জীবনে চলছে সংকটময় সময়। ২০২৩ সালে স্ত্রী আয়েশা মুখার্জির সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। কিন্তু বিচ্ছেদের পর দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি তার ছেলে জোরাওয়ারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। আদালত নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ধাওয়ান ছেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং ভিডিও কলে কথা বলার সুযোগ পাবেন। তবে বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি।
২০১১ সালে আয়েশার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ধাওয়ান। এটি আয়েশার দ্বিতীয় বিয়ে ছিল এবং আগের সংসারে তার দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। ধাওয়ানের সঙ্গে তার দাম্পত্য জীবনে জোরাওয়ারের জন্ম হয়। তবে ২০১৬ সালের পর থেকেই ধাওয়ান ও আয়েশার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়।
ধাওয়ান বিচ্ছেদের পর দিল্লি হাইকোর্টে অভিযোগ করেন যে, আয়েশা তাকে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছেন না। আদালত তার আবেদন গ্রহণ করলেও সন্তানের দায়িত্ব মায়ের হাতেই দেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, আয়েশা ভারত বা অস্ট্রেলিয়ায় যেখানেই থাকুন না কেন, ধাওয়ান নির্দিষ্ট সময়ে ছেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন। এছাড়া ভিডিও কলে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগের অনুমতিও পান তিনি। কিন্তু বাস্তবে তিনি ছেলের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে পারছেন না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ধাওয়ান জানান, ‘দুই বছর হয়ে গেল ছেলেকে দেখিনি। এক বছরের বেশি সময় ধরে তার কণ্ঠও শুনতে পাইনি। খুব কষ্ট হয়, কিন্তু এভাবেই বেঁচে থাকতে হবে। আমি ওর সঙ্গে আধ্যাত্মিকভাবে সংযুক্ত থাকার চেষ্টা করি। আমার মন ওর কাছেই পড়ে থাকে। আমি জানি, জোরাওয়ারও আমার কথা ভাবে। আমাদের মনের মধ্যে কথোপকথন হয়, কারণ অন্য কোনো উপায় নেই।’
ভারতের জাতীয় দলের হয়ে ৩৪টি টেস্ট, ১৬৭টি ওয়ানডে এবং ৬৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা এই ব্যাটসম্যান আরও বলেন, ‘আমি চাই জোরাওয়ার সুস্থ ও আনন্দে থাকুক। মাঝেমধ্যে তাকে মেসেজ পাঠাই, যদিও জানি সে সেগুলো দেখতে পাবে না। তবুও আমি এটা করি, কারণ এটা আমার কর্তব্য। আমি এটা চালিয়ে যাব।’
ধাওয়ান জানান, তার ছেলে এখন ১১ বছর বয়সী। কিন্তু তিনি তার জীবনের মাত্র আড়াই বছর ছেলেকে কাছে পেয়েছেন। সন্তানকে দেখতে না পাওয়ার কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি, কিন্তু আদালতের আদেশ সত্ত্বেও তার পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন আসছে না।
repoter