
ছবি: সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পরও বাংলাদেশ দীর্ঘদিন অরক্ষিত ছিল, কিন্তু ২০২৪ সালের বিজয়ের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে।
সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, "২০২৪ সালের বিজয় আমাদের স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থকে পুনরুদ্ধার করেছে। এটি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করেছে, যাতে জনগণ সত্যিকারের বিজয় ও স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারে।"
এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে জাতির প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, "মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জুলাই মাসের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ এই অর্জনে পৌঁছেছি। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি, যেখানে ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের কোনো স্থান থাকবে না।"
নাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেন যে, এই বিজয় শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং একটি ন্যায়ভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য জাতির দৃঢ় সংকল্পের বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, "এই দিনটি আমাদের জন্য একটি সুন্দর, উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকারের প্রমাণ।"
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত রেখে জাতিকে সমৃদ্ধি ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং দেশপ্রেমের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জাতির সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এই বিজয়ের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে, এখন আমাদের দায়িত্ব হলো একটি ন্যায়ভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ ও উন্নত দেশ গড়ার জন্য একযোগে কাজ করা।"
২০২৪ সালের বিজয়কে তিনি বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি মনে করেন, এই অর্জন দেশের সব মানুষের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দ্বার উন্মোচন করেছে। শহীদদের রক্তে রঞ্জিত এই স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং নতুন প্রজন্মের জন্য একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।
আলোচনার শেষে উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্য ও সংহতির উপর জোর দেন এবং সবার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ২০২৪ সালের এই বিজয় দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং জনগণের স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করবে।
repoter