ছবি: -সংগৃহীত ছবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে রাজধানী পরিবহনের বাসে ওঠার সময় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় প্রায় ১৬ ঘণ্টা টানা অবরোধ ও উত্তেজনার পর অবশেষে সমাধান হয়েছে ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে। মালিকপক্ষ শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা চেয়ে লিখিত মুচলেকা দিয়েছে এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। এর পর বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে আটক করে রাখা রাজধানী পরিবহনের ২৮টি বাস মুক্ত করে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ঘটনার সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার রাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হালিমা খাতুন টিউশন শেষে ফেরার পথে সাভারের থানা স্ট্যান্ড থেকে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে উঠেছিলেন। বাসে ওঠার সময় কন্ডাক্টরের সঙ্গে কথোপকথনে গন্তব্য নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়। তিনি জানান, “আমি জাহাঙ্গীরনগর বলার পরও হেলপার জিরানি শুনেছেন বলে মনে করেন। আমি গাড়িতে ওঠার পর আবারও তিনি গন্তব্য জানতে চান। আমি জাহাঙ্গীরনগর বলার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেন, তখন গাড়ি ছেড়ে দিয়েছিল। আমি চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে যাই এবং পায়ে গুরুতর ব্যথা পাই।”
এই ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার বর্ণনা দেন এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীও নিজের অভিজ্ঞতা ফেসবুকে লিখে জানান যে এর আগেও একই রকম পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাতেই উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে রাজধানী পরিবহনের ২৮টি বাস আটক করেন। রাতভর টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়।
বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে সমঝোতার চেষ্টা শুরু হয়। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলমের উপস্থিতিতে বাস মালিকপক্ষ, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এবং তার সহপাঠীরা আলোচনায় বসেন। দীর্ঘ আলোচনার পর মালিকপক্ষ নিজেদের ভুল স্বীকার করে শিক্ষার্থীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না বলে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়। আলোচনার অংশ হিসেবে মালিকপক্ষ ভুক্তভোগী হালিমা খাতুনকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলোচনার বিষয়ে বলেন, “মালিকপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করেছে এবং শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা চেয়ে লিখিত মুচলেকা দিয়েছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভবিষ্যতে যাত্রী, বিশেষত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভদ্র আচরণ করবে। ক্ষতিপূরণ বাবদ তারা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছে।”
অন্যদিকে, আলোচনায় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় পরিবহন সেক্টরে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ভাড়া নিয়ে বিরোধ, অবমাননাকর আচরণ, এমনকি শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। এই ঘটনার পর থেকে তারা আরও সংগঠিত হয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন বলে মন্তব্য করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলার পরপরই চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান। তারা দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়মিত অসদাচরণ করে আসছে পরিবহন শ্রমিকরা। প্রশাসন ও মালিকপক্ষের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না থাকায় এরকম ঘটনা বাড়ছেই। ফলে বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থীরা বাস আটকে আন্দোলনে নামেন।
মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বলেন, এই ঘটনায় তাদেরও বিব্রত হতে হয়েছে। তারা চালক ও কন্ডাক্টরের অসৌজন্যমূলক আচরণের দায় এড়াতে পারছেন না। তাই ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দেওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় ছিল না। তারা আশ্বাস দেন, সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে চলা এই অচলাবস্থায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। তবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও কোনো বড় ধরনের সংঘর্ষ বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেনি। পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান থেকে সরে আসেননি।
আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীরা আটকে রাখা বাসগুলো ছেড়ে দেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হালিমা খাতুন জানান, ক্ষতিপূরণ তার শারীরিক ও মানসিক আঘাত পূরণ করতে পারবে না, তবে তিনি চান ভবিষ্যতে আর কোনো শিক্ষার্থী যেন একই ধরনের ঘটনার শিকার না হন। তিনি বলেন, “আমি শুধু চাই, যাত্রীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা হোক। শিক্ষার্থীদের বারবার অপমানিত হতে হবে কেন? এই ঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকার হলে হয়তো অন্য কেউ আর সাহস পাবে না এভাবে আচরণ করার।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনায় দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রয়োজন। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। তারা মনে করেন, ক্ষতিপূরণ হয়তো সাময়িকভাবে সমস্যার সমাধান করেছে, কিন্তু মূল সমস্যার সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আবারও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে তারা বলছেন, নজরদারি ও তদারকি জোরদার না হলে যেকোনো সময় আবারও একই ধরনের হয়রানি বা সহিংসতা ঘটতে পারে। পরিবহন খাতে শিক্ষার্থীদের প্রতি সৌজন্যমূলক আচরণ নিশ্চিত করার দাবিও তাদের মুখে শোনা যাচ্ছে।
এভাবেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার মতো একটি ঘটনা দ্রুতই বড় আকার ধারণ করেছিল। দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা আলোচনার পর ক্ষতিপূরণ ও মালিকপক্ষের ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হলেও, শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন থেকে গেছে—কেবল টাকার বিনিময়ে কি মানুষের নিরাপত্তা ও মর্যাদার নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে রাজধানী পরিবহনের বাসে ওঠার সময় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় প্রায় ১৬ ঘণ্টা টানা অবরোধ ও উত্তেজনার পর অবশেষে সমাধান হয়েছে ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে। মালিকপক্ষ শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা চেয়ে লিখিত মুচলেকা দিয়েছে এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। এর পর বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে আটক করে রাখা রাজধানী পরিবহনের ২৮টি বাস মুক্ত করে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ঘটনার সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার রাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হালিমা খাতুন টিউশন শেষে ফেরার পথে সাভারের থানা স্ট্যান্ড থেকে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে উঠেছিলেন। বাসে ওঠার সময় কন্ডাক্টরের সঙ্গে কথোপকথনে গন্তব্য নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়। তিনি জানান, “আমি জাহাঙ্গীরনগর বলার পরও হেলপার জিরানি শুনেছেন বলে মনে করেন। আমি গাড়িতে ওঠার পর আবারও তিনি গন্তব্য জানতে চান। আমি জাহাঙ্গীরনগর বলার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেন, তখন গাড়ি ছেড়ে দিয়েছিল। আমি চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে যাই এবং পায়ে গুরুতর ব্যথা পাই।”
এই ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার বর্ণনা দেন এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীও নিজের অভিজ্ঞতা ফেসবুকে লিখে জানান যে এর আগেও একই রকম পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাতেই উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে রাজধানী পরিবহনের ২৮টি বাস আটক করেন। রাতভর টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়।
বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে সমঝোতার চেষ্টা শুরু হয়। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলমের উপস্থিতিতে বাস মালিকপক্ষ, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এবং তার সহপাঠীরা আলোচনায় বসেন। দীর্ঘ আলোচনার পর মালিকপক্ষ নিজেদের ভুল স্বীকার করে শিক্ষার্থীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না বলে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়। আলোচনার অংশ হিসেবে মালিকপক্ষ ভুক্তভোগী হালিমা খাতুনকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলোচনার বিষয়ে বলেন, “মালিকপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করেছে এবং শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা চেয়ে লিখিত মুচলেকা দিয়েছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভবিষ্যতে যাত্রী, বিশেষত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভদ্র আচরণ করবে। ক্ষতিপূরণ বাবদ তারা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছে।”
অন্যদিকে, আলোচনায় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় পরিবহন সেক্টরে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ভাড়া নিয়ে বিরোধ, অবমাননাকর আচরণ, এমনকি শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। এই ঘটনার পর থেকে তারা আরও সংগঠিত হয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন বলে মন্তব্য করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলার পরপরই চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান। তারা দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়মিত অসদাচরণ করে আসছে পরিবহন শ্রমিকরা। প্রশাসন ও মালিকপক্ষের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না থাকায় এরকম ঘটনা বাড়ছেই। ফলে বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থীরা বাস আটকে আন্দোলনে নামেন।
মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বলেন, এই ঘটনায় তাদেরও বিব্রত হতে হয়েছে। তারা চালক ও কন্ডাক্টরের অসৌজন্যমূলক আচরণের দায় এড়াতে পারছেন না। তাই ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দেওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় ছিল না। তারা আশ্বাস দেন, সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে চলা এই অচলাবস্থায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। তবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও কোনো বড় ধরনের সংঘর্ষ বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেনি। পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান থেকে সরে আসেননি।
আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীরা আটকে রাখা বাসগুলো ছেড়ে দেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হালিমা খাতুন জানান, ক্ষতিপূরণ তার শারীরিক ও মানসিক আঘাত পূরণ করতে পারবে না, তবে তিনি চান ভবিষ্যতে আর কোনো শিক্ষার্থী যেন একই ধরনের ঘটনার শিকার না হন। তিনি বলেন, “আমি শুধু চাই, যাত্রীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা হোক। শিক্ষার্থীদের বারবার অপমানিত হতে হবে কেন? এই ঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকার হলে হয়তো অন্য কেউ আর সাহস পাবে না এভাবে আচরণ করার।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনায় দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রয়োজন। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। তারা মনে করেন, ক্ষতিপূরণ হয়তো সাময়িকভাবে সমস্যার সমাধান করেছে, কিন্তু মূল সমস্যার সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আবারও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে তারা বলছেন, নজরদারি ও তদারকি জোরদার না হলে যেকোনো সময় আবারও একই ধরনের হয়রানি বা সহিংসতা ঘটতে পারে। পরিবহন খাতে শিক্ষার্থীদের প্রতি সৌজন্যমূলক আচরণ নিশ্চিত করার দাবিও তাদের মুখে শোনা যাচ্ছে।
এভাবেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার মতো একটি ঘটনা দ্রুতই বড় আকার ধারণ করেছিল। দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা আলোচনার পর ক্ষতিপূরণ ও মালিকপক্ষের ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হলেও, শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন থেকে গেছে—কেবল টাকার বিনিময়ে কি মানুষের নিরাপত্তা ও মর্যাদার নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব?
repoter




