ছবি: শীতের সকালে গন্তব্যের উদ্দেশে বের হয়েছেন অনেকে। আজ রোববার সকাল ১০টায় পঞ্চগড় সদর উপজেলার শিংপাড়া এলাকায়
পঞ্চগড়ে গত কয়েক দিনের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেলেও কুয়াশার দাপট এখনো অব্যাহত রয়েছে। উত্তরের হিমেল বাতাসে সকাল ও রাতের বেলা কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এটি সারা দেশের সর্বনিম্ন নয়। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে। সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার।
রাতভর উত্তরের ঝিরিঝিরি বাতাসের পর ভোর থেকে ঘন কুয়াশা চারদিক ঢেকে ফেলে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা গেলেও কুয়াশার কারণে রোদের তীব্রতা ছড়াতে পারেনি।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর তেঁতুলিয়ায় চলতি মৌসুম ও সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। ওই দিন থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছিল এবং এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল।
গতকাল শনিবার তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে দিনভর মেঘলা আকাশ ও হিমেল বাতাসের কারণে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তুলনামূলক কম ছিল। বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে দিনের বেলাতেও শীত অনুভূত হয়েছে।
আজ সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চারদিক ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন। প্রয়োজনের তাগিদে সাধারণ মানুষ গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে বাইরে বের হচ্ছেন। কেউ জমিতে হালচাষ ও বীজ বোনার কাজে ব্যস্ত, আবার কেউ সবজি তুলে বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন। কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
সদর উপজেলার শিংপাড়া এলাকায় ভ্যানচালক হজরত আলী (৪৬) বলেন, কয়েক দিন ধরে রোদ ভালোই দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু গত রাত থেকে বাতাস বেড়েছে, কুয়াশাও ঘন। দুই দিন ধরে ঠান্ডা বেশি লাগছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেলেও আকাশে মেঘ ও ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে না। ফলে দিনের বেলাতেও শীত অনুভূত হচ্ছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এ অঞ্চলে আবারও মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
repoter



