ছবি: হামলার পর পড়ে রয়েছে বিএনপির কার্যালয়ের ভাঙা চেয়ার। গতকাল রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চর কিং ইউনিয়নের ভৈরব বাজারে
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির একটি ওয়ার্ড কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার চর কিং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভৈরব বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের চারজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, চর কিং ইউনিয়নের ব্রিজবাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ ডিসেম্বর রাত আটটার দিকে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোজাক্কের বারীকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মোজাক্কের বারী বাদী হয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবু তাহেরসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ মামলার তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যায়।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, পুলিশ তদন্ত শেষে চলে যাওয়ার পর আবু তাহেরের অনুসারীরা ভৈরব বাজারে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে চর কিং ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য মো. সাহারাজ (৩২), ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী মো. রুবেল (৩৫), মো. মনির (৩৫) এবং হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সংগ্রহ কমিটির সদস্য কবির উদ্দিন (৪৮) আহত হন।
আহতদের মধ্যে সাহারাজকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. শামীম উদ্দিন জানান, শনিবার রাতে হামলায় আহত এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাঁর চিকিৎসা চলছে।
চর কিং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোজাক্কের বারী বলেন, পুলিশকে তথ্য দেওয়ার পরই বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, এতে চারজন আহত হন।
এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার পর থেকে তিনি ও তাঁর অনুসারীরা এলাকায় নেই।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এর আগে স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল এবং সে বিষয়ে একটি মামলা রয়েছে। তবে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি অবগত নন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
repoter


