ছবি: সকাল পৌনে ৭টায় যশোরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার
দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। শনিবার সকাল পৌনে ৭টায় জেলায় তাপমাত্রা নেমে আসে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। টানা শৈত্যপ্রবাহ ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় যশোরসহ আশপাশের এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
দিনের মধ্যভাগে অল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষিকাজে এর প্রভাব স্পষ্ট। ভোরে মাঠে নামতে না পারায় অনেক কৃষক সকাল ৯টা বা ১০টার আগে কাজে যেতে পারছেন না। বর্তমানে আলু ও বোরো ধান রোপণ এবং পরিচর্যার মৌসুম চলায় শীত কৃষকদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
শ্রমজীবীদের কষ্ট বেড়েছে
যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন যেখানে শত শত মানুষ শ্রম বিক্রির আশায় জড়ো হন, সেখানে প্রচণ্ড শীতের কারণে শ্রমিকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। অনেকেই কাজ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন, কেউ কেউ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও কাজ পাচ্ছেন না। দিনমজুরদের ভাষ্য, শীতের সময় একদিন কাজ মিললেও পরের কয়েক দিন কাজ থাকে না, ফলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডাজনিত রোগও বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। চিকিৎসকেরা শীতকালীন রোগ থেকে বাঁচতে গরম কাপড় ব্যবহার, গরম পানি পান এবং প্রয়োজন ছাড়া ভোরে বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস
আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, যশোরসহ দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও কুয়াশার কারণে ঠান্ডার অনুভূতি আরও কিছুদিন বজায় থাকতে পারে।
repoter


