
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশের রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে হ্রাস পাবে না, বরং আরও বাড়বে। এ বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের রপ্তানিখাতে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে সরকার কাজ করছে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গত ৬ এপ্রিল দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ওই সভায় বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী তপন চৌধুরী, নাসিম মঞ্জুর ও লুবানা হক। বৈঠকে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, সরকার এমন সব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, যার ফলে দেশের রপ্তানি খাত আরও শক্তিশালী হবে এবং মার্কিন বাজারে রপ্তানি হ্রাস পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
শফিকুল আলম বলেন, “ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের আলোচনায় রপ্তানি পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা হয়েছে। আমরা বারবার বলছি, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের সব লক্ষ্যই দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখা এবং রপ্তানি আরও বাড়ানোর দিকে।”
তিনি আরও বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্টকে যেভাবে বার্তা পাঠানো হয়েছে, সেটি একটি বড় ইতিবাচক বার্তা। এর মধ্য দিয়ে বোঝানো হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার আন্তরিকভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি বাড়াতে চায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে আগ্রহী।”
সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের জন্য নীতি সহায়তা, বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, নতুন বাজার অনুসন্ধান, ও ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরি। এসব প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে সরকার দেশীয় শিল্পখাতকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, “যারা রপ্তানি নিয়ে ভীত বা উদ্বিগ্ন হচ্ছেন, তাদের বলব— বাস্তব পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করুন। সরকার ব্যবসায়ীদের পাশে আছে এবং আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে।”
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “আমরা আশাবাদী। বিশ্বের বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে, রপ্তানিও বাড়বে। এই লক্ষ্যেই সরকার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে।”
repoter