
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর হামাস নতুন করে ১০ থেকে ১৫ হাজার যোদ্ধা নিয়োগ করেছে। মার্কিন কংগ্রেসের দুজন সদস্য, যারা মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য সম্পর্কে অবহিত, এ তথ্য জানিয়েছেন। তাদের মতে, ইরান-সমর্থিত এই হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের জন্য স্থায়ী হুমকি হয়ে থাকতে পারে।
গত ১৫ মাসের যুদ্ধের পর, গাজা উপত্যকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি হয়েছে। এই সময়ে প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে অনেকেই হামাসের যোদ্ধা। যুদ্ধবিরতির পর, মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে হামাস সফলভাবে নতুন সদস্য সংগ্রহ করলেও তাদের মধ্যে অনেকেই অল্প বয়সী ও প্রশিক্ষণহীন, এবং তাদের মূলত সাধারণ পাহারার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও ১৪ জানুয়ারি বলেছেন যে, হামাস যতো যোদ্ধা হারিয়েছে, তার প্রায় সমান সংখ্যক নতুন সদস্য সংগ্রহ করেছে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এতে ‘স্থায়ী বিদ্রোহ’ এবং ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধের’ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তবে, হামাসের কতজন যোদ্ধা হারিয়েছে এবং কতজন নতুন সদস্য যুক্ত হয়েছে, তা নিয়ে কোনো বিস্তারিত হিসাব প্রকাশ করা হয়নি।
ইসরায়েল দাবি করেছে, গাজা যুদ্ধে হামাসের প্রায় ২০ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পরও হামাস তাদের সংগঠন পুনর্গঠন করতে সক্ষম হয়েছে, যা ইসরায়েলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখার মুখপাত্র আবু উবাইদা জুলাইয়ে জানিয়েছিলেন, তাদের সংগঠন হাজার হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ করেছে। যুদ্ধের এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও গাজায় হামাসের শক্তি কমাতে সক্ষম হয়নি। হামাসের প্রমাণ হয়ে উঠেছে যে, তাদের শেকড় গাজায় অনেক গভীরে অবস্থান করছে।
যদিও ইসরায়েলি বাহিনী ১৫ মাস ধরে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে এসেছে, তবে হামাসের পুনর্গঠন এবং তাদের যুদ্ধ চালানোর সক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে।
repoter