
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে। রোববার সকালে এ হামলা চালানো হয়। তবে ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করে। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এ হামলায় কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে মধ্য ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বেজে ওঠায় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) দাবি করেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি দেশের সীমান্ত অতিক্রম করার আগেই প্রতিহত করা হয়েছে। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক অভিযান শুরুর পর থেকে এটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হুথিদের পঞ্চম হামলা।
এর আগে হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের বন্দর নগরী হোদেইদার বিমানবন্দরে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে এবং এর কড়া জবাব দেওয়ার হুমকি দেয়। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর হুথিরা ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দাবিও করেছিল, যা ইসরায়েল প্রতিহত করার দাবি করে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা চালিয়েছে। শনিবার (২২ মার্চ) এ হামলার কথা জানায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। তারা দাবি করে, লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়েছিল, যা প্রতিহত করা হয়েছে। এর জবাবে ইসরায়েল লেবাননে পাল্টা হামলা চালায়। এই হামলা ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে এক বছর ধরে চলা যুদ্ধবিরতিকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
প্রসঙ্গত, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছে এবং দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। ২০১৪ সালে রাজধানী সানা দখলের পর থেকে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ তীব্র হয়। ২০১৫ সালে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোট হুথিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলেও লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। এ যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং দেশটি গভীর মানবিক সংকটে পড়েছে।
repoter