
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ওষুধ, রেস্তোরাঁ, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য বেশ কিছু পণ্য ও সেবার ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) এনবিআরের চারটি পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল-আমিন শেখ জানান, দেশের নিজস্ব আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকার গত ৯ জানুয়ারি ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এবং ‘দ্য এক্সসাইজ অ্যান্ড সল্ট অ্যাক্ট (এমেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫’ জারি করে। এর অংশ হিসেবে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং আবগারি শুল্কের হার পুনঃনির্ধারণ করে বেশ কয়েকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
তবে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল সমাজ এবং অংশীজনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বৃহত্তর স্বার্থে এনবিআর নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। পুনর্বিবেচনার পর কয়েকটি পণ্য ও সেবায় বিদ্যমান ভ্যাটের হার, উৎসে ভ্যাট কর্তনের হার এবং সম্পূরক শুল্কের হার হ্রাস করে চারটি নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে, সরকার ওয়ার্কশপ সেবার ওপর ভ্যাটের হার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করে। তবে সংশ্লিষ্ট খাতের আপত্তির পর গত ২০ জানুয়ারি বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়। একইভাবে, রেস্তোরাঁ সেবার ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও, এ খাতের মালিকদের আন্দোলনের মুখে পূর্বের হার পুনর্বহাল করা হয়।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ই-বুকের ওপর ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল ফোন সেবা, ইন্টারনেট সেবা এবং ওষুধের দোকানের ওপর আরোপিত বাড়তি ভ্যাটের হারও বাতিল করা হয়েছে।
ভ্যাট বৃদ্ধির প্রাথমিক সিদ্ধান্তটি দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে নেয়া হয়েছিল। তবে, এ সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ জনগণ, বিশেষত ব্যবসায়িক এবং সেবা খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এনবিআর জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতামত বিবেচনায় নিয়েই ভ্যাট বৃদ্ধির হার পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ জানুয়ারি থেকে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। এ সিদ্ধান্তের আওতায় শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। তবে জনমত এবং আন্দোলনের ফলে ভ্যাট বৃদ্ধির প্রায় সব ক্ষেত্রেই পূর্বের হার পুনর্বহাল করা হয়েছে।
এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, রাজস্ব আয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যে নেওয়া যেকোনো পদক্ষেপ জনগণের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী দিনগুলোতেও জনগণের আর্থিক সক্ষমতা এবং অংশীজনদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে রাজস্ব নীতিমালা নির্ধারণ করা হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের আর্থিক উন্নয়নে রাজস্ব খাতকে আরও শক্তিশালী করতে ভবিষ্যতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হবে। তবে এসব উদ্যোগ গ্রহণের সময় জনসাধারণ এবং ব্যবসায়িক মহলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না তা নিশ্চিত করা হবে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা সরকারের একটি জনবান্ধব পদক্ষেপ। এর ফলে সাধারণ মানুষের ওপর আর্থিক চাপ কিছুটা কমবে এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত হবে।জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ওষুধ, রেস্তোরাঁ, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য বেশ কিছু পণ্য ও সেবার ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) এনবিআরের চারটি পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল-আমিন শেখ জানান, দেশের নিজস্ব আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকার গত ৯ জানুয়ারি ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এবং ‘দ্য এক্সসাইজ অ্যান্ড সল্ট অ্যাক্ট (এমেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫’ জারি করে। এর অংশ হিসেবে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং আবগারি শুল্কের হার পুনঃনির্ধারণ করে বেশ কয়েকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
তবে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল সমাজ এবং অংশীজনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বৃহত্তর স্বার্থে এনবিআর নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। পুনর্বিবেচনার পর কয়েকটি পণ্য ও সেবায় বিদ্যমান ভ্যাটের হার, উৎসে ভ্যাট কর্তনের হার এবং সম্পূরক শুল্কের হার হ্রাস করে চারটি নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে, সরকার ওয়ার্কশপ সেবার ওপর ভ্যাটের হার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করে। তবে সংশ্লিষ্ট খাতের আপত্তির পর গত ২০ জানুয়ারি বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়। একইভাবে, রেস্তোরাঁ সেবার ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও, এ খাতের মালিকদের আন্দোলনের মুখে পূর্বের হার পুনর্বহাল করা হয়।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ই-বুকের ওপর ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল ফোন সেবা, ইন্টারনেট সেবা এবং ওষুধের দোকানের ওপর আরোপিত বাড়তি ভ্যাটের হারও বাতিল করা হয়েছে।
ভ্যাট বৃদ্ধির প্রাথমিক সিদ্ধান্তটি দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে নেয়া হয়েছিল। তবে, এ সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ জনগণ, বিশেষত ব্যবসায়িক এবং সেবা খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এনবিআর জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতামত বিবেচনায় নিয়েই ভ্যাট বৃদ্ধির হার পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ জানুয়ারি থেকে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। এ সিদ্ধান্তের আওতায় শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। তবে জনমত এবং আন্দোলনের ফলে ভ্যাট বৃদ্ধির প্রায় সব ক্ষেত্রেই পূর্বের হার পুনর্বহাল করা হয়েছে।
এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, রাজস্ব আয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যে নেওয়া যেকোনো পদক্ষেপ জনগণের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী দিনগুলোতেও জনগণের আর্থিক সক্ষমতা এবং অংশীজনদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে রাজস্ব নীতিমালা নির্ধারণ করা হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের আর্থিক উন্নয়নে রাজস্ব খাতকে আরও শক্তিশালী করতে ভবিষ্যতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হবে। তবে এসব উদ্যোগ গ্রহণের সময় জনসাধারণ এবং ব্যবসায়িক মহলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না তা নিশ্চিত করা হবে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা সরকারের একটি জনবান্ধব পদক্ষেপ। এর ফলে সাধারণ মানুষের ওপর আর্থিক চাপ কিছুটা কমবে এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত হবে।
repoter