ছবি: ছবি: সংগৃহীত
কিংস্টনের সাবিনা পার্কে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় টস এবং রাত ৯টায় ম্যাচ শুরুর কথা ছিল। তবে মাঠের আউটফিল্ড ভেজা থাকায় তা পিছিয়ে যায়।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে আউটফিল্ড ও উইকেটের আশপাশের বড় অংশ স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেছে। মাঠ শুকানোর কাজ চললেও এখনও খেলার উপযোগী পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। যদিও আজ কিংস্টনে আকাশ পরিষ্কার এবং রৌদ্রজ্জ্বল, আগের দিনের বৃষ্টি মাঠকে এমন অবস্থায় নিয়ে এসেছে যা খেলায় দেরি তৈরি করছে।
ম্যাচ শুরুর সময় নির্ধারণে আম্পায়াররা বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় প্রথমবার মাঠ পরিদর্শন করেন। কিন্তু তখনও মাঠ খেলার উপযোগী নয় বলে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এরপর পুনরায় মাঠের অবস্থা যাচাইয়ের জন্য রাত ১২টায় পরিদর্শনের সময় নির্ধারণ করা হয়।
সাবেক ক্যারিবীয় স্পিনার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার স্যামুয়েল বদ্রি জানিয়েছেন যে, আকাশ পরিষ্কার থাকলেও আউটফিল্ডের ভেজা পরিস্থিতির কারণে দিনের মধ্যে খুব বেশি খেলা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি আরও বলেন, মাঠ পুরোপুরি শুকাতে পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন এবং মাঠ শুকানোর কাজে যতটা সম্ভব দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি বাংলাদেশ দলের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম টেস্টে অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পরাজিত হয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া। এই ম্যাচে ভালো পারফর্ম করাই তাদের জন্য একমাত্র পথ।
প্রথম টেস্টে ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগেই হতাশাজনক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে তাদের থেকে দারুণ প্রত্যাবর্তনের আশা করছেন ভক্ত ও সমর্থকেরা। তবে বর্তমান অবস্থায় ম্যাচ দেরিতে শুরু হলে সময়ের ঘাটতি এবং আবহাওয়া পরিস্থিতি ম্যাচের ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্টে জয়ী হয়ে আত্মবিশ্বাসী অবস্থানে রয়েছে। তাদের লক্ষ্য থাকবে দ্বিতীয় টেস্টেও জয় তুলে নিয়ে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নেওয়া। ক্যারিবীয় পিচ সাধারণত স্পিন ও পেস বোলারদের জন্য সহায়ক হলেও বৃষ্টির কারণে মাঠের অবস্থা সেই স্বাভাবিক চরিত্র থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাবিনা পার্কের দর্শকরা ম্যাচ শুরুর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। বাংলাদেশ দল চায় যত দ্রুত সম্ভব মাঠে নেমে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলও প্রস্তুত, তবে মাঠের অবস্থা তাদের পরিকল্পনাকে কিভাবে প্রভাবিত করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এমন পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তা ও স্থিতিশীলতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। বৃষ্টি বা মাঠের দেরি যেমন খেলোয়াড়দের মনোযোগ বিভ্রান্ত করতে পারে, তেমনি এটি দলগুলোর প্রস্তুতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। এই পরিস্থিতি কোন দলের জন্য সুবিধাজনক হবে তা মাঠে খেলা শুরু হলে বোঝা যাবে।
বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ উভয় দলের জন্য এই ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ দল চাইবে নিজেদের ব্যাটিং লাইনআপকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এবং বোলিং আক্রমণকে আরও ধারালো করতে। অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল প্রথম ম্যাচের জয় থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেও একই রকম পারফরম্যান্স প্রদর্শন করতে চাইবে।
মাঠের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খেলা শুরুর নতুন সময় নির্ধারণ করা হবে। এদিকে, ক্রিকেট ভক্তরা টিভি পর্দায় চোখ রেখেছেন এবং অপেক্ষা করছেন তাদের প্রিয় দলের পারফরম্যান্স দেখার জন্য। এই ম্যাচের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে সিরিজের ভবিষ্যৎ, যা উভয় দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
repoter