
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
১৯৮ রানের ছোট লক্ষ্য। কিন্তু এই লক্ষ্যকেও ভারতের জন্য পাহাড়সম কঠিন করে তুলল বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিং ইউনিট। শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। রেকর্ড ৮ বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে এই অর্জন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বে মাঠে যেন ছিল একঝাঁক আত্মবিশ্বাসী বোলার। ম্যাচের শুরু থেকেই উইকেটের জন্য মরিয়া টাইগার বোলাররা একের পর এক আঘাত হানতে থাকেন। ভারতের কোনো ব্যাটারই দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারেননি। ব্যাট হাতে লড়াই করেছিলেন কেবল কেপি কার্তিকেয়া ও মোহাম্মদ আমান। তবে তাদেরকেও ফিরিয়ে ম্যাচ জয়ের পথে বাংলাদেশকে সহজ করেছে টাইগারদের বোলিং আক্রমণ।
ম্যাচে বড় ভূমিকা রাখেন ইকবাল হোসাইন ইমন। এক স্পেলে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে মোড় ঘুরিয়ে দেন এই তরুণ বোলার। তার একই ওভারে ফেরেন কার্তিকেয়া ও নিখিল। দুজনেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। এরপর হারভানশ পানগালিয়াকেও ফিরিয়ে দেন ইমন। ফলে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে চেতন শর্মার আউটের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত হয় জয়। বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে পুরো বাংলাদেশ দল। মাঠে দেখা যায় কৃতজ্ঞতার সিজদাহ। উড়তে থাকে বাংলাদেশের পতাকা।
এর আগে, সকালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। শিহাব জেমস ও রিজান হোসেন চতুর্থ উইকেটে ৬২ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে দলকে খানিকটা টেনে তোলেন। জেমস ৬৭ বলে ৪০ রান করে আউট হলে ছন্দপতন ঘটে। এরপর রিজান ৬৫ বলে ৪৭ রান করে ফিরলে দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ।
নবম উইকেটে ফরিদ হাসান ও মারুফ মৃধার ৩১ রানের ছোট জুটি স্কোর দুইশোর কাছাকাছি নিয়ে যায়। ফরিদ ৪৯ বলে ৩৯ রান করে আউট হলে ১৯৮ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। মারুফ ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ছোট লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে ভারত। টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একের পর এক উইকেট হারিয়ে পথ হারায় তারা। শেষ পর্যন্ত ১৩৮ রানে অলআউট হয় ভারত।
এই জয়ে টাইগাররা দেখিয়ে দিল, কঠোর পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাস থাকলে যেকোনো চ্যালেঞ্জ জয় করা সম্ভব। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই শিরোপা বিজয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আরও একটি গৌরবময় অধ্যায় হিসেবে জায়গা করে নিল।
repoter