
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
পৌষ মাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে শীতের প্রকোপ বাড়লেও গত কয়েকদিনে রাজধানী ঢাকায় শীতের অনুভূতি কিছুটা কম ছিল। তবে আজ শনিবার রাজধানীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন অবস্থায় দেখা গেছে। এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে।
পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুরসহ দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ভোররাত থেকেই শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আজ সকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। আকাশজুড়ে ঘন কালো মেঘ দেখা গেছে, যা বৃষ্টির সঙ্গে শীতের প্রকোপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে স্থানীয় কৃষক, নিম্নআয়ের মানুষ এবং কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় ঘন কুয়াশা এবং বৃষ্টির কারণে তীব্র ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষদের, যাদের কাজকর্ম এবং জীবিকা প্রত্যক্ষভাবে আবহাওয়ার উপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে, গভীর সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিপদে পড়েছেন জেলেরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। নিম্নচাপটি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তার আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে পটুয়াখালীর পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গভীর সাগরে যাওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান জানান, নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এ কারণে সব ধরনের নৌযান এবং জেলেদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উপকূলীয় এলাকার এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং শীতের প্রকোপ কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো পূর্বাভাস এখনো পাওয়া যায়নি। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় সকলকে সতর্ক ও সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
repoter