
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যকে 'অসত্য' বলার কারণে ঢাকা-ওয়াশিংটনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এ সময় তিনি ভারতের ভিসা নীতির বিষয়েও বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
ভারতের ভিসা ইস্যুতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণভাবে ভারতের সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না। তিনি বলেন, "ভিসা জটিলতা আমরা সৃষ্টি করিনি। ভিসা দেওয়া বা না দেওয়া ভারতের সার্বভৌম অধিকার। আমরা আশা করি, তারা তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে এবং আমাদের সাথে সহযোগিতা বাড়াবে, যাতে যারা ভারত যেতে চান, তারা ভিসা পেতে পারেন।"
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, "ট্রাম্পের বক্তব্যে কোনো বিস্তারিত তথ্য নেই। আমরা দেখেছি, তার বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই। তাই এ নিয়ে দুদেশের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার কোনো কারণ নেই।" তিনি আরও যোগ করেন, "এ ধরনের বক্তব্যে সাধারণত সংশ্লিষ্ট দেশের দূতদের ডাকা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা মনে করি, এটি উসকানিমূলক নয়। তাই ঢাকাস্থ মার্কিন দূতকে ডাকার প্রয়োজন দেখা যায়নি।"
গত সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইউএসএআইডির অর্থায়নে 'স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়িত হয়েছে। ট্রাম্পের বক্তব্যে এ প্রকল্প নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ালেও প্রকৃতপক্ষে এটি বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন নয়।
এদিকে, ভারত ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য আমাদের অবস্থানেরই প্রতিফলন। আমরা সব সময় বলেছি, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালো কাজের ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। এটি আমাদের স্পষ্ট অবস্থান।"
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে এবং এ নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি না করার পরামর্শ দিয়েছে।
repoter