ছবি: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস - সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তিন শূন্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণমুক্ত একটি পৃথিবী গড়ার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সামাজিক শীর্ষ সম্মেলনে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই আহ্বান জানান। তার ভাষণ দিয়ে শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু হয়, এরপর ব্রাজিলের ফার্স্ট লেডি জানজা লুলার মূল বক্তব্য পরিবেশিত হয়।
বাংলাদেশ, ব্রাজিলের সঙ্গে জি-২০ গ্লোবাল অ্যালায়েন্সে যোগদানকারী প্রথম দেশ হিসেবে, এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। এটি জাতির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে বিবেচিত।
তিন শূন্যের ধারণা ও একটি টেকসই ভবিষ্যৎ
সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল "একটি ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব ও একটি টেকসই গ্রহ তৈরি করা।" অধ্যাপক ইউনূস তার ভাষণে এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য নির্ধারিত পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি দারিদ্র্য ও ক্ষুধার বিরুদ্ধে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স প্রতিষ্ঠার জন্য ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের এই উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে ভূমিকা তুলে ধরেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “তিন শূন্যের ধারণা - দারিদ্র্যমুক্ত, বেকারত্বমুক্ত ও কার্বন নিঃসরণমুক্ত পৃথিবী গড়ার জন্য বিশ্বব্যাপী নতুন মানসিকতা ও জীবনধারা গ্রহণ জরুরি।”
বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকা ও আমন্ত্রণ
তিনি জি-২০ প্রেসিডেন্সি ব্রাজিলের অধীনে বাংলাদেশের অবদানের কথা তুলে ধরেন, বিশেষত নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু স্থায়িত্ব এবং দারিদ্র্য ও ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।
সম্মেলনে উপস্থিত ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর জসিম উদ্দিন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
অধ্যাপক ইউনূস তার বক্তব্যের শেষে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত একটি পৃথিবী গড়তে সম্মিলিত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট লুলাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
বিশ্বের জন্য বাংলাদেশের বার্তা
আজ অবধি এই গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ৩০টি দেশ ও সংস্থা, যার মধ্যে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা অন্তর্ভুক্ত। শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ ৩০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণ করেন।
repoter