
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে চীন, থাইল্যান্ড এবং জাপান সফর করবেন। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, এ সফরের মাধ্যমে দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
২৬ মার্চ চীন সফর শুরু, বৈঠক শি জিনপিংয়ের সঙ্গে
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পর ২৬ মার্চ চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে ড. ইউনূসের। তিনি ২৫-২৮ মার্চ হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠিতব্য বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন। এরপর ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ড. ইউনূসকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান। সেই আমন্ত্রণের ভিত্তিতে এ সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলন, মোদির সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা
এপ্রিল মাসে থাইল্যান্ড সফরের সময় ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন ড. ইউনূস। বিমসটেকের বর্তমান চেয়ার থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে আগামী ৪ এপ্রিল থেকে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।
শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি ৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে ড. ইউনূসের। এ বৈঠকে অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাপানে নিক্কেই সম্মেলন ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক
ফেব্রুয়ারিতে জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার ইকুইনা আকিকো টোকিওতে অনুষ্ঠেয় নিক্কেই ৩০তম ফিউচার অব এশিয়া ইভেন্টে যোগ দেওয়ার জন্য ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান। তিনি ২০০৪ সালে নিক্কেই এশিয়া পুরস্কার বিজয়ী হওয়ায় জাপান সরকার তাঁর অংশগ্রহণকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
এছাড়া, ড. ইউনূস ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় পক্ষ এ বৈঠকের জন্য কাজ করছে। পাশাপাশি, ওসাকা এক্সপো ২০২৫-এ অংশগ্রহণের জন্যও তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সফরের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা
এই তিন মাসের সফরে ড. ইউনূস কৌশলগত অংশীদারিত্ব, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও আঞ্চলিক উন্নয়নমূলক নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন। কূটনৈতিক মহলে এই সফরকে বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
repoter