ছবি: ফাইল ছবি
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ রুশ পাল্টা হামলার আশঙ্কায় থমথমে পরিস্থিতিতে রয়েছে। প্রথমবারের মতো ইউক্রেন রুশ ভূখণ্ডে দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর এ উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মার্কিন দূতাবাস তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ‘কিয়েভে বড় ধরনের বিমান হামলার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে।’ দূতাবাস কর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং মার্কিন নাগরিকদেরও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইতালি, স্পেন এবং গ্রিসও সম্ভাব্য হামলার শঙ্কায় ইউক্রেনে নিজেদের দূতাবাস বন্ধ রেখেছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের এক হাজার দিন পূর্ণ হয়েছে গত মঙ্গলবার। দীর্ঘ এই সংঘাতে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় প্রাণ হারিয়েছেন এবং লাখ লাখ মানুষ শরণার্থী হয়েছেন। ইউক্রেনজুড়ে হামলা ও বিমান হামলার সাইরেন শোনা গেছে প্রায় প্রতিদিনই। শহর থেকে গ্রাম—সবখানেই যুদ্ধের ছাপ স্পষ্ট।
এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া হুমকি দিয়েছে, রুশ ভূখণ্ডে হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে রুশ ভূখণ্ডে হামলার অনুমতি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। তবে জানুয়ারিতে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণ করলে নীতিতে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
তবে এই যুদ্ধের ফলে ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়পক্ষেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক হিসাব গোপন রাখা হলেও বিভিন্ন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এ ক্ষতির ধারণা পাওয়া যায়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এটিই সবচেয়ে বড় সংঘাত। যুদ্ধকবলিত অঞ্চলে প্রতিটি রাত কাটছে আতঙ্কে। সাইরেন বাজলেই মানুষ ছুটে যাচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
সূত্র: আনন্দবাজার, ডয়চে ভেলে
repoter