
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
বাজারে সরবরাহ সংকটের প্রেক্ষিতে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৮ টাকা বৃদ্ধি করেছে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক বৈঠকে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড ভেজিটেবল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভোরভএমএ)-এর সভাপতি মোস্তফা হায়দার এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম এখন ১৭৫ টাকা প্রতি লিটার এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম হবে ১৫৭ টাকা। এর আগে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৬৭ টাকা এবং খোলা তেল বিক্রি হতো ১৪৯ টাকায়।
বৈঠকে মোস্তফা হায়দার জানান, সয়াবিন তেলের নতুন মূল্য নির্ধারণে এক্স বন্ড, ইন বন্ড ভ্যালু এবং এলসি খোলার গড় মূল্য বিবেচনায় নেওয়া হয়। এর সঙ্গে প্রক্রিয়াকরণ ও বোতলজাতকরণের খরচ যোগ করা হয়। ২০১১ সাল থেকে এই পদ্ধতির মাধ্যমে তেলের মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া চালু রয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম প্রতি টন বর্তমানে ১২০০ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এর ফলে স্থানীয় বাজারেও মূল্যবৃদ্ধির চাপ তৈরি হয়েছে। এখন থেকে প্রতি মাসে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে তেলের দাম নির্ধারণ করা হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানান, বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহে কিছুটা সংকট রয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ট্যারিফ কমিশনের সহযোগিতায় সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত এপ্রিল মাসে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ২০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে দেশে মজুদদারি তৎপরতা বেড়েছে, যা বাজারে সংকট তীব্র করেছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও জানান, সব তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে দেশে তেলের মজুদ সন্তোষজনক। তবে বিভিন্ন স্থানে মজুদদারির তৎপরতা দেখা গেছে, যা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সয়াবিন তেলের সংকট গত দুই-তিন মাস ধরে চলমান। এই সংকট সম্প্রতি আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে, যা ভোক্তাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছে। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এই সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে।
repoter