ছবি: ছবি: সংগৃহীত
গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে, তবে লেনদেন কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ০.৭৩ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে পৌঁছেছে। তবে, লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় ৮.৫৫ শতাংশ কমে দৈনিক গড় ২,২৭০ কোটি টাকায় নেমেছে।
ডিএসইতে সূচক ও লেনদেনের চিত্র
ডিএসইর সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত সপ্তাহে সূচকের উত্থান ছিল উল্লেখযোগ্য।
- ডিএসইএক্স: ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫,৩৫৫ পয়েন্ট।
- ডিএস-৩০: ২১ পয়েন্ট বেড়ে ১,৯৮৬ পয়েন্ট।
- ডিএসইএস: সামান্য বেড়ে ১,১৯০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৪১৩টি কোম্পানির মধ্যে ১৪৮টির দর বেড়েছে, ২০৫টির কমেছে, অপরিবর্তিত ছিল ৩১টির। ২৯টি কোম্পানির লেনদেন হয়নি। সূচক বৃদ্ধিতে প্রধান অবদান রেখেছে বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, যমুনা ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো এবং খান ব্রাদার্স।
খাতভিত্তিক লেনদেন পরিস্থিতি
ডিএসইর মোট লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ওষুধ ও রসায়ন খাত (১৫.৭ শতাংশ)।
- ব্যাংক খাত: ১২.৮ শতাংশ।
- বস্ত্র খাত: ৯.৫ শতাংশ।
- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ: ৮.৭ শতাংশ।
- প্রকৌশল খাত: ৭.২ শতাংশ।
ইতিবাচক রিটার্নে এগিয়ে ছিল সাধারণ বিমা (১০.৩ শতাংশ), জীবন বীমা (৪.৪ শতাংশ), এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ (২ শতাংশ)। বিপরীতে নেতিবাচক রিটার্ন দেখা গেছে পাট (১৬.৪ শতাংশ), ভ্রমণ (৬.৪ শতাংশ), এবং কাগজ খাতে (৩.৬ শতাংশ)।
সিএসইর সার্বিক পরিস্থিতি
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক বেড়েছে।
- সিএএসপিআই: ১৪,৮৮০ পয়েন্ট (০.১৯ শতাংশ বৃদ্ধি)।
- সিএসসিএক্স: ৯,০৬৩ পয়েন্ট (০.৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি)।
লেনদেনের পরিমাণ ছিল উল্লেখযোগ্য। গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭০ কোটি টাকার, যা আগের সপ্তাহের ৩৫ কোটি টাকার তুলনায় দ্বিগুণ। ৩১৪টি কোম্পানির মধ্যে ১১৩টির দর বেড়েছে, ১৮২টির কমেছে, এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৯টির দর।
সার্বিক বিশ্লেষণ
সূচক বাড়লেও দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে লেনদেন কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন ও সূচক উভয়েরই বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের জন্য আশার আলো জাগিয়েছে।
repoter